আজ, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫, লখনউয়ের ইকানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মধ্যে আইপিএল ২০২৫-এর একটি ম্যাচ নির্ধারিত আছে।
খেলাধুলার খবর: আজ ইকানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG) এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB) -এর মধ্যে আইপিএল ২০২৫-এর ৫৯তম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, যা আইপিএল প্লেঅফের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচের ফলাফল উভয় দলের প্লেঅফে পৌঁছানোর সম্ভাবনার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে, দেশে পাকিস্তানের সাথে বর্ধমান সামরিক উত্তেজনার কারণে এমন প্রশ্ন উঠেছে যে, কি এই ম্যাচও ধর্মশালা ম্যাচের মতো বাতিল হবে, যা নিরাপত্তার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
পাকিস্তানের সাথে বর্ধমান উত্তেজনার প্রভাব
গতকাল বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের আইপিএল ম্যাচ নিরাপত্তার কারণে বাতিল করা হয়েছিল, কারণ ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজন বেড়ে গিয়েছিল। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জম্মু ও তার আশেপাশের এলাকায় ড্রোন আক্রমণ চালানো হয়েছিল, যা ভারতীয় সেনা ব্যর্থ করে দিয়েছিল। তারপরেও, এই ঘটনার পর থেকে ভারতে ক্রিকেট আয়োজক এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে উদ্বেগের পরিবেশ বিরাজ করছে।
ধর্মশালায় ঘটনার পর, যেখানে পঠানকোট থেকে ধর্মশালা দূরত্ব প্রায় ৮৫ কিলোমিটার, আইপিএল আয়োজন নিয়ে নতুন নিরাপত্তা মানদণ্ড নির্ধারণ করা হতে পারে। বিসিসিআইও তাদের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করার জন্য গভর্নিং বডি-এর জরুরি বৈঠক ডেকেছিল, যেখানে ভবিষ্যতের ম্যাচ আয়োজন নিয়ে বিবেচনা করা হয়েছিল।
কি লখনউতে ম্যাচ হবে?
আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল আজকের ম্যাচ সম্পর্কে সাম্প্রতিক আপডেট দিয়েছেন। পিটিআই-এর সাথে কথোপকথনে তিনি বলেছেন, এই ম্যাচ এখনও হবে, কিন্তু আমরা ক্রমাগত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। নিরাপত্তা সর্বোচ্চ, এবং সকল স্টেকহোল্ডারের সর্বোত্তম স্বার্থ মাথায় রেখে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর অর্থ হল, এখনই লখনউতে ম্যাচ বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা নেই, কিন্তু যদি পরিস্থিতিতে আরও কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা দেয়, তাহলে ম্যাচের উপর প্রভাব পড়তে পারে।
RCB এবং LSG-এর জন্য ম্যাচের গুরুত্ব
- এই ম্যাচ আইপিএল ২০২৫-এর প্লেঅফের লড়াইয়ে উভয় দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- RCB যদি জেতে, তাহলে তারা প্লেঅফে যোগ্যতা অর্জনকারী প্রথম দল হওয়ার সুযোগ পাবে।
- অন্যদিকে, লখনউ সুপার জায়ান্টস যদি পরাজিত হয়, তাহলে তাদের প্লেঅফে পৌঁছানোর সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে।
- অতএব, উভয় দলের জন্যই এই ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খেলার পরিস্থিতি এবং খেলোয়াড়দের মানসিকতা বিবেচনা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরীক্ষা এবং সম্ভাব্য বাতিলের বিষয়ে সময় সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিসিসিআই-এর প্রচেষ্টা
আইপিএল আয়োজক এবং বিসিসিআই পুরোপুরি চেষ্টা করছে যাতে আইপিএল ২০২৫-এর আয়োজন অব্যাহত থাকে এবং যেকোন ধরনের নিরাপত্তা সংকট থেকে রক্ষা করা যায়। বিসিসিআই-এর জন্য এই পরিস্থিতি সত্যিই চ্যালেঞ্জিং, কারণ তাদের খেলোয়াড় এবং দলের নিরাপত্তার সাথে সাথে আইপিএল-এর সফল আয়োজনের দায়িত্বও পালন করতে হবে।
যে পরিবেশই হোক না কেন, বিসিসিআই-এর প্রাথমিক অগ্রাধিকার সবসময় নিরাপত্তা ছিল। এইবার যখন পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বেড়ে গেছে, তখন আইপিএল আয়োজকরা নিশ্চিত করছেন যে সকল ম্যাচ নিরাপদে অনুষ্ঠিত হবে।
```