আইপিএলে ৪০ পেরিয়েও ফাফ ডু প্লেসিসের অসাধারণ সাফল্য

🎧 Listen in Audio
0:00

আইপিএল ২০২৫-এর ৪৮তম লিগ ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স आमने-সামনে ছিল। এই रोमांचক ম্যাচটি দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে কেকেআর চমৎকার পারফর্মেন্স করে ১৪ রানে ম্যাচ জিতে নেয়।

DC vs KKR: আইপিএল ২০২৫-এর ৪৮তম ম্যাচে যদিও দিল্লি ক্যাপিটালস কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে ১৪ রানে পরাজিত হয়, তবে এই ম্যাচে দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ফাফ ডু প্লেসিস এক ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করেন। বয়সের এমন এক পর্যায়ে যেখানে অধিকাংশ খেলোয়াড় অবসরের দিকে ঝুঁকে পড়েন, সেখানে ফাফের ব্যাট আরও বেশি উজ্জ্বলতা ছড়িয়ে দিচ্ছে। ৪৫ বলে ৬২ রানের চমৎকার অর্ধশতকের ইনিংস খেলে তিনি ক্রিকেটের ভগবান বলে পরিচিত সচিন তেন্ডুলকরকে একটি বিশেষ ক্ষেত্রে পিছনে ফেলে দিয়েছেন।

৪০ বছর পার, কিন্তু উত্সাহ কমেনি

ফাফ ডু প্লেসিস আইপিএলে ৪০ বছর বয়সের পর এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে মোট ১৬৫ রান করেছেন। তাঁর গড় ৩৩, যা এই বয়সেও তাঁর ফিটনেস এবং দক্ষতার পরিচয় দেয়। এই তালিকায় তিনি এখন সচিন তেন্ডুলকরকে ছাড়িয়ে গেছেন, যিনি ৪০ বছর বয়সের পর আইপিএলে মোট ৮ ম্যাচ খেলে ১৬৪ রান করেছিলেন। সচিনের গড় তখন ছিল ২৩.৪২।

এই বিশেষ ক্লাবে ফাফ এখন পঞ্চম স্থানে পৌঁছে গেছেন। এই তালিকার প্রথম স্থানে আছেন এমএস ধোনি, যিনি ৪০ বছর বয়সের পর ৬২ ম্যাচে ৭১৪ রান করেছেন। ধোনির গড় ৩১.০৪ এবং তিনি ৪০ বছরের বেশি বয়সী খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।

বয়সকে চ্যালেঞ্জ, ফিটনেস হয়েছে আদর্শ

ফাফের ইনিংস শুধুমাত্র রান করার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তাঁর ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞতা, টাইমিং এবং সংযমের অসাধারণ মিশ্রণ দেখা গেছে। তাঁর ফিটনেস এবং দ্রুততা যুবকদেরও পিছনে ফেলে দেয়। টি-টোয়েন্টির মতো দ্রুততম ফরম্যাট প্রায়শই বয়স্ক খেলোয়াড়দের জন্য কঠিন প্রমাণিত হয়, কিন্তু ফাফের খেলা এই মিথকে ভেঙে দেয়।

শুধুমাত্র আইপিএল নয়, ৪০ বছর বয়সের পর ফাফ ডু প্লেসিস সামগ্রিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও অসাধারণ পারফর্মেন্স করেছেন। তিনি এই বয়সের দলে বিশ্বের পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন। তিনি এখন পর্যন্ত ৩৩ ম্যাচে ৩৬.৩৮ গড়ে ১১২৮ রান করেছেন। এই সময় তিনি ১১টি অর্ধশতকও করেছেন, যা তাঁর ধারাবাহিকতা এবং কার্যকারিতার প্রমাণ।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৪০+ বয়সে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় পাকিস্তানের শোয়েব মালিক শীর্ষে আছেন। শোয়েব ২২০১ রান করেছেন এবং এখনও সক্রিয় ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন।

Leave a comment