আইপিএল ২০২৫ রাজস্থান রয়্যালসের জন্য একটা দুঃস্বপ্নের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই দল একটি বড় ধাক্কা পেয়েছে যখন তাদের নিয়মিত অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন পুরোপুরি ফিট ছিলেন না এবং ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলতে খেলতে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব রিয়ান পরাগকে সোপর্দ করতে হয়েছে।
খেলাধুলার খবর: আইপিএল ২০২৫ মৌসুম রাজস্থান রয়্যালসের জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন মৌসুম হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে। ক্রমাগত পরাজয় এবং দলের ভেতরে উত্থান-পতনের পরও, রাজস্থান রয়্যালসের এখনও প্লেঅফে পৌঁছানোর একটা সুযোগ আছে, যদিও এটি কোনো সহজ কাজ হবে না। আইপিএলের চলমান মৌসুমে দল এখন পর্যন্ত ৯টি ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে মাত্র ২টিতে জয়লাভ করেছে এবং ৭টি ম্যাচে পরাজিত হয়েছে।
তবুও, রাজস্থান রয়্যালস দলের জন্য কিছু আশা বাকি আছে, কিন্তু এই আশাগুলি সম্পূর্ণরূপে এই বিষয়ের উপর নির্ভর করে যে তারা বাকি ম্যাচগুলিতে কী ধরণের পারফরম্যান্স করে।
রাজস্থান রয়্যালসের সমস্যা বেড়েছে
আইপিএল ২০২৫ এর এই মৌসুম রাজস্থান রয়্যালসের জন্য কোনো দুঃস্বপ্নের চেয়ে কম নয়। দলের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন আঘাতের কারণে প্রথমে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলছিলেন, যখন দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব রিয়ান পরাগ নিয়েছিলেন। পরে সঞ্জু অধিনায়কত্বের দায়িত্ব আবার নিয়েছিলেন, কিন্তু দলের ভাগ্য বদলায়নি।
এই মৌসুমে রাজস্থানের দল এখন পর্যন্ত সাতটি ম্যাচ হেরেছে এবং পয়েন্ট টেবিলে ৮ম স্থানে আছে, কিন্তু তবুও তারা পুরোপুরি টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েনি। দলের এখনও ৫টি ম্যাচ বাকি আছে, এবং যদি তারা এই সব ম্যাচে জয়লাভ করে, তাহলে তাদের ১৪ পয়েন্টে পৌঁছানোর সুযোগ থাকবে।
১৪ পয়েন্ট: কি রাজস্থান রয়্যালস পারবে?
রাজস্থান রয়্যালস যদি প্লেঅফে পৌঁছাতে চায়, তাহলে তাদের বাকি পাঁচটি ম্যাচে জয় অর্জন করতে হবে এবং পাশাপাশি তাদের নেট রান রেটেও উন্নতি করতে হবে। ১৪ পয়েন্ট অর্জন করা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে, কারণ এর উপর ভিত্তি করে তারা প্লেঅফের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবে। তবে, শুধু ১৪ পয়েন্ট থাকলেই যথেষ্ট নয়। দলকে এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে আইপিএল শেষ হওয়ার আগে অন্যান্য দল ১৬ পয়েন্টের কাছাকাছি না পৌঁছে যায়।
যদি রাজস্থানের নেট রান রেট ঠিক থাকে এবং অন্যান্য দল পরাজিত হয়, তাহলে তারা প্লেঅফে প্রবেশ করার একটা সুযোগ পেতে পারে। কিন্তু এই পরিস্থিতি কোনো অলৌকিক ঘটনার চেয়ে কম নয়, কারণ অন্যান্য দলের অবস্থানও বেশ শক্তিশালী হতে পারে।
আইপিএলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লেঅফে পৌঁছানোর সম্ভাবনা
আইপিএলের সূচনা হয়েছিল ২০০৮ সালে এবং তখন থেকে এখন পর্যন্ত ১০টি দল ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লেঅফে পৌঁছেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল ডেকান চার্জার্স, যারা ২০০৯ সালে এবং চেন্নাই সুপার কিংস, যারা ২০১০ সালে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লেঅফে প্রবেশ করে ট্রফিও জিতেছিল। এই দুটি দলের অভিজ্ঞতা রাজস্থান রয়্যালসের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে।
অন্যদিকে যদি আমরা আইপিএল ২০২৪-এর কথা বলি, তাহলে আরসিবি (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর) ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লেঅফে প্রবেশ করেছিল। যদিও প্লেঅফে পৌঁছেছিল, কিন্তু ট্রফি জিততে পারেনি। এর অর্থ হল রাজস্থান রয়্যালসের আরসিবির মতো একটা কীর্তি পুনরাবৃত্তি করার সুযোগ আছে, কিন্তু এর জন্য শুধু দলের পরিশ্রমই নয়, ভাগ্যের খেলাও গুরুত্বপূর্ণ হবে।
রাজস্থানকে জয়ের সাথে সাথে নেট রান রেটের দিকেও নজর দিতে হবে
রাজস্থান রয়্যালসের বর্তমান অবস্থায়, তাদের প্লেঅফে পৌঁছানোর সবচেয়ে বড় মন্ত্র হল – যেকোনো ভাবেই বাকি পাঁচটি ম্যাচে জয়লাভ করা এবং নেট রান রেটকে উন্নত করা। এছাড়াও, দলকে এটাও আশা করতে হবে যে লিগ স্টেজ শেষ হওয়ার আগে অন্যান্য দলের পারফরম্যান্স তাদের আশানুরূপ থাকবে, যাতে ১৪ পয়েন্ট অর্জন করার পরও তারা প্লেঅফে যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।
রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ফিরে আসা দলের জন্য উপকারী হতে পারে, কারণ তার অভিজ্ঞতা এবং ব্যাটিং ফর্ম দলকে জয় এনে দিতে সাহায্য করতে পারে। তবে, অধিনায়কত্বের দায়িত্ব স্যামসনের উপর চাপও বৃদ্ধি করেছে। দলকে এবং অন্যান্য খেলোয়াড়দের একত্রিত হয়ে তাদের পারফরম্যান্স উন্নত করার প্রয়োজন, যাতে তারা বাকি পাঁচটি ম্যাচে সফল হতে পারে।