ইংল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি ২২শে মে ট্রেন্ট ব্রিজে অনুষ্ঠিত হবে। ২০০৩ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে জিম্বাবুয়ের এটিই প্রথম টেস্ট ম্যাচ, যা জিম্বাবুয়ের জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
Eng vs Zim: ইংল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে ২২শে মে থেকে শুরু হতে চলা একমাত্র টেস্ট ম্যাচ এখন আর কাছে। ম্যাচটি নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে অনুষ্ঠিত হবে এবং জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক সুযোগ। ২০০৩ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে জিম্বাবুয়ের এটিই প্রথম টেস্ট ম্যাচ। এছাড়াও, জিম্বাবুয়ে তাদের ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে, যেখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
জিম্বাবুয়ের দলে তিনটি পরিবর্তন
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই ম্যাচের জন্য জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের নির্বাচকরা বাংলাদেশ সফরের তিনটি পরিবর্তন করেছেন। এই পরিবর্তনগুলি দলকে নতুন দিক নির্দেশ করার জন্য করা হয়েছে, যাতে তারা ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে পারফর্ম করতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে স্টার অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজার ফিরে আসা উল্লেখযোগ্য। সিকান্দার রাজা, যিনি পূর্বে বাংলাদেশ সফরে দলের অংশ ছিলেন না, এখন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে ফিরছেন।
রাজার ফিরে আসা জিম্বাবুয়ে দলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কারণ তার অভিজ্ঞতা ও অলরাউন্ড ক্ষমতা দলের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। তিনি জনাথন ক্যাম্পবেলের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন, যিনি বাংলাদেশ সফরে দলে ছিলেন।
ক্লাইভ মাডান্ডেকে ব্যাকআপ উইকেটকিপার হিসেবে স্থান
এছাড়াও, চোট সারিয়ে উঠে ক্লাইভ মাডান্ডেও দলে স্থান পেয়েছেন। মাডান্ডে বাংলাদেশ সফরে দলের অংশ ছিলেন না, কিন্তু এখন তিনি তার ফিটনেস প্রমাণ করে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দলে জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি ব্যাকআপ উইকেটকিপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ন্যাশা মায়াভোর স্থলে তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই পরিবর্তনটি দলের জন্য ভালো, কারণ একজন শক্তিশালী ব্যাকআপ উইকেটকিপার যেকোনো জরুরী পরিস্থিতিতে দলের কাজে আসতে পারে।
ভিনসেন্ট মাসেকসাকে দলে স্থান দেওয়া হয়নি
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হলো লেগ স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকসাকে দলের বাইরে রাখা। মাসেকসা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে চমৎকার পারফর্ম করেছিলেন, যেখানে তিনি পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন, কিন্তু তারপরেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচের জন্য তাকে দলে স্থান দেওয়া হয়নি। তার বাদ পড়া নির্বাচকদের একটি বড় সিদ্ধান্ত, তবে এটি অবশ্যই দলের কৌশল মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে।
প্রধান কোচের বক্তব্য: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবেন খেলোয়াড়রা
জিম্বাবুয়ের প্রধান কোচ জাস্টিন স্যামন্স দল নির্বাচনের পর তাঁর মতামত ব্যক্ত করে বলেন, "পারফরম্যান্সের দিক থেকে আমার আশা, আমরা এমন এক পর্যায়ে খেলবো যা বিশ্বের অন্যতম সেরা দলের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারবে। আমি সত্যিই খেলোয়াড়দের এই বিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামতে দেখতে চাই যে তারা এই জায়গার যোগ্য, মুহূর্তটি উপভোগ করুন এবং এর আনন্দ নিন।"
স্যামন্সের এই বক্তব্য জিম্বাবুয়ে দলের আত্মবিশ্বাস প্রতিফলিত করে, যারা ইংল্যান্ডের মতো বড় দলের বিরুদ্ধে তাদের খেলাকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে প্রস্তুত। তার কথা দলের মনোবল বৃদ্ধি করবে, যাতে খেলোয়াড়রা মাঠে প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারে।
জিম্বাবুয়ের জন্য কেন এই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ
২০০৩ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে জিম্বাবুয়ের এটিই প্রথম টেস্ট ম্যাচ। এর আগে, জিম্বাবুয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্বদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলেছে, কিন্তু এখন তারা ইংল্যান্ডের মাটিতে ফিরে এসেছে, যা তাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে। জিম্বাবুয়ের কাছে কিছু চমৎকার খেলোয়াড় আছে, এবং এই ম্যাচ জেতার জন্য তাদের পুরো শক্তি দিতে হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচের পর, জিম্বাবুয়ে দল ৩রা জুন থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চার দিনের ম্যাচ খেলবে, যা অ্যারান্ডেল অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচটি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রস্তুতির অংশ, যা ১১ই জুন থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শুরু হবে। জিম্বাবুয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই ম্যাচটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে, কারণ তাদের আগামী বড় সিরিজের জন্য তাদের খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করতে হবে।
ইংল্যান্ড সফরের জন্য জিম্বাবুয়ের টেস্ট দল
ক্রেগ আরভিন (অধিনায়ক), ব্রায়ান বেনেট, বেন কুরেন, ট্রেভর গোয়ান্ডু, ক্লাইভ মাডান্ডে, ওয়েসলি মাদেভেরে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড নগারাভা, নিউম্যান ন্যামুরি, ভিক্টর ন্যৌচি, সিকান্দার রাজা, তাফাদজাওয়া ত্সিগা, নিকোলাস ওয়েলচ এবং শন উইলিয়ামস।
জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের টেস্ট দল
বেন স্টোকস (অধিনায়ক), গাস অ্যাটকিনসন, শোয়েব বশির, হ্যারি ব্রুক, স্যাম কুক, জর্ডান কক্স, জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, ওলি পোপ, ম্যাথিউ পটস, জো রুট, জেমি স্মিথ এবং জোশ টাঙ্গ।
```