টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দিগ্বিজয়ীদের জন্য আরেকটি বড় টুর্নামেন্ট আসছে—টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬, যার যৌথ আয়োজন করবে ভারত এবং শ্রীলঙ্কা। ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের পর ক্রিকেটের এই সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটের উত্তেজনা আরও বেড়ে যাবে।
খেলাধুলার খবর: ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য আবারও উত্তেজনা নিয়ে আসছে। ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে এবং এতে মোট ২০টি দল অংশগ্রহণ করবে। এই অতি প্রতীক্ষিত টুর্নামেন্টের জন্য এখন পর্যন্ত ১৩টি দল যোগ্যতা অর্জন করেছে, আর বাকি ৭টি স্থানের জন্য প্রতিযোগিতা এখনও চলছে।
এটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সংস্করণ হবে যেখানে ২০টি দল খেলবে। এর আগে ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আমেরিকার যৌথ আয়োজনে ২০ দলের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে ভারত বিজয়ী হয়েছিল।
এখন পর্যন্ত কোন কোন দল যোগ্যতা অর্জন করেছে?
এখন পর্যন্ত যারা ১৩টি দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬-এর জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে, তার মধ্যে দুটি আয়োজক দেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কা, যারা আয়োজনের কারণে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। এছাড়াও, ২০২৪ বিশ্বকাপের শীর্ষ ৮ দল এবং এরপর আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে তিনটি অতিরিক্ত দল এবার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে। যোগ্যতা অর্জনকারী ১৩টি দল:
- ভারত (আয়োজক)
- শ্রীলঙ্কা (আয়োজক)
- অস্ট্রেলিয়া
- ইংল্যান্ড
- নিউজিল্যান্ড
- পাকিস্তান
- দক্ষিণ আফ্রিকা
- বাংলাদেশ
- আফগানিস্তান
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- যুক্তরাষ্ট্র (USA)
- আয়ারল্যান্ড
- কানাডা
বাকি ৭টি দলের নির্বাচন কীভাবে হবে?
বাকি ৭টি স্থান পূরণের জন্য আইসিসি কর্তৃক নির্ধারিত আঞ্চলিক যোগ্যতা নির্ণায়ক টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া ক্রিকেটের উন্নয়নকে বিশ্বব্যাপী উৎসাহিত করে, বিশেষ করে সেসব দেশের জন্য যারা নিয়মিতভাবে আইসিসি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে না। আঞ্চলিক যোগ্যতা নির্ণায়কের বণ্টন:
- এশিয়া ও পূর্ব এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় (EAP) অঞ্চল — ৩টি দল
- ইউরোপ অঞ্চল — ২টি দল
- আফ্রিকা অঞ্চল — ২টি দল
এই প্রতিযোগিতাগুলির মাধ্যমে সেসব দলকে সুযোগ মিলবে যারা আইসিসির প্রধান আয়োজনগুলিতে কম দেখা যায়, কিন্তু দ্রুত উঠে আসছে। এতে বিশ্বকাপে প্রতিযোগিতার মানও বাড়বে এবং নতুন খেলোয়াড়দের মঞ্চ মিলবে।
ভারত ও শ্রীলঙ্কার প্রস্তুতি জোরদার
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজনের জন্য ভারত ও শ্রীলঙ্কা ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও স্থান নির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠক শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে, ভারতে মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লি এবং আহমেদাবাদ, আর শ্রীলঙ্কায় কলম্বো, গালে এবং ক্যান্ডি-র মতো প্রধান শহরগুলিকে ম্যাচের জন্য নির্বাচন করা হবে। এই টুর্নামেন্টটিতে বিশেষ আগ্রহের কারণ হলো ভারত ২০২৪ সালের বিশ্বকাপের বিজয়ী এবং ঘরোয়া মাঠে তারা শিরোপা রক্ষার প্রবল দাবীদার হবে।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০ দলের ফরম্যাট কেবল প্রতিযোগিতা বাড়ায় না, ছোট ছোট দেশগুলিকেও বিশ্বব্যাপী মঞ্চে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ দেয়। ২০২৪ সালের টুর্নামেন্টে ইউএসএ এবং নেদারল্যান্ডসের মতো দলগুলি চমৎকার পারফর্ম করে তা প্রমাণ করেছে। বাকি ৭টি দলের ঘোষণা ২০২৫ সালের শেষের মধ্যে হবে।
এই সময়কালে আফ্রিকা, ইউরোপ এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যোগ্যতা নির্ণায়ক টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এই আয়োজনগুলির পর ২০ দলের চূড়ান্ত তালিকা নির্ধারিত হবে এবং তারপরে আইসিসি টুর্নামেন্টের ড্র এবং গ্রুপ বিভাজন করবে।