মৌসুমি বৃষ্টির গতি ধীর, কিন্তু মধ্যপ্রদেশে সময়মতো আগমনের সম্ভাবনা

🎧 Listen in Audio
0:00

কেরল ও মুম্বাইতে সময়ের আগেই আগমন ঘটানোর পর এবার মৌসুমি বৃষ্টির গতি ধীর হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (IMD) -এর মতে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে মৌসুমি বৃষ্টির অগ্রযাত্রা প্রভাবিত হয়েছে।

মধ্যপ্রদেশে মৌসুমি বৃষ্টি: মধ্যপ্রদেশে প্রবল বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকা মানুষের জন্য মৌসুমি বৃষ্টির গতি কিছুটা হতাশাজনক হলেও, স্বস্তির বার্তা হলো, দেরি হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যে এটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পৌঁছানোর সম্ভাবনা অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর (IMD)-এর মতে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে মৌসুমি বৃষ্টির গতিতে এখন বিরতি পড়েছে, যার ফলে উত্তর ও মধ্য ভারতের দিকে এর অগ্রযাত্রার গতি ধীর হয়েছে।

কেরল থেকে মুম্বাই পর্যন্ত দ্রুত ছিল মৌসুমি বৃষ্টি

এই বছর দক্ষিণ ভারতে মৌসুমি বৃষ্টি সময়ের আগেই উপস্থিতি জানিয়েছে। ২৪শে মে কেরলে আগমনের পর মৌসুমি বৃষ্টি গোয়া, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের কিছু অংশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মুম্বাইতে এটি ১৬ দিন আগেই পৌঁছে গিয়েছিল, যা আবহাওয়াবিদদেরও চমকে দিয়েছিল। কিন্তু উত্তর-পূর্ব ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চলে পৌঁছানোর সাথে সাথেই এর গতি থেমে গেছে।

ভারতীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান দপ্তরের মতে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি নতুন নিম্নচাপ ক্ষেত্র মৌসুমি বৃষ্টির অগ্রযাত্রায় প্রধান বাধা হয়ে উঠেছে। এই নিম্নচাপ ক্ষেত্র মৌসুমি বায়ুর স্বাভাবিক পথকে বাধাগ্রস্ত করছে, যার ফলে এর প্রভাব ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড এবং মধ্য ভারতের রাজ্যগুলিতে ধীরে ধীরে পৌঁছাবে।

মধ্যপ্রদেশে মৌসুমি বৃষ্টির দেরি - কিন্তু চিন্তার কিছু নেই

ভোপাল থেকে প্রায় ৭৯৪ কিলোমিটার দূরে মৌসুমি সীমা বর্তমানে স্থির রয়েছে, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মৌসুমি বৃষ্টি আবার সক্রিয় হতে পারে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে, ১৫ই জুনের মধ্যে মধ্যপ্রদেশে মৌসুমি বৃষ্টির আগমন ঘটতে পারে, যা স্বাভাবিক তারিখ হিসেবে ধরা হয়। আবহাওয়াবিদদের মতে, যদিও এবার মৌসুমি বৃষ্টির গতি ধীর, তবে এটি কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। প্রায়শই পরিবর্তনশীল আবহাওয়া এবং চাপের ক্ষেত্র অনুযায়ী মৌসুমি বৃষ্টির গতি কমে-বেড়ে থাকে। ভালো খবর হলো, এখন পর্যন্ত ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে এমপিতে মৌসুমি বৃষ্টি সময়মতো পৌঁছে যাবে।

১৭ টি রাজ্যে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে মৌসুমি বৃষ্টি

IMD-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনের মতে, মৌসুমি বৃষ্টি এখন পর্যন্ত দেশের ১৭ টি রাজ্যে পৌঁছে গেছে। এর মধ্যে কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, গোয়া এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য পুরোপুরি আচ্ছাদিত হয়েছে। মহারাষ্ট্র, ওড়িশা এবং ছত্তিশগড়ের কিছু অংশেও মৌসুমি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ একটি প্রধান কৃষি প্রধান রাজ্য, যেখানে খরিফ ফসলের চাষ মৌসুমি বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল। মৌসুমি বৃষ্টির দেরিতে কৃষকরা উদ্বিগ্ন হলেও, আবহাওয়া দপ্তরের আশ্বাস কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। রাজ্যের কৃষকরা এখন বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছেন যাতে সময়মতো বপন শুরু করা যায়।

ছিন্দওয়ারা, জবলপুর, রিভা, সাগর, হোশঙ্গাবাদ এবং বৈতুলের মতো জেলাগুলিতে ধান, সোয়াবিন, ভুট্টা এবং মুগফলির চাষ ব্যাপকভাবে হয়। যদি ১৫ই জুনের মধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়, তাহলে কৃষকদের কোনও ক্ষতি হবে না। কিন্তু মৌসুমি বৃষ্টিতে আরও দেরি হলে সরকারকে বিকল্প পরিকল্পনার আওতায় সেচ ব্যবস্থার প্রস্তুতি নিতে হতে পারে।

Leave a comment