দিল্লি-এনসিআরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবহাওয়ার নতুন রূপ

🎧 Listen in Audio
0:00

আবহাওয়ার পূর্বাভাস: দিল্লি ও এনসিআরে আবহাওয়ার রূপ বদলাতে দেখা যাচ্ছে। দিনের বেলায় হালকা রোদের সাথে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে মানুষ গরম অনুভব করতে শুরু করেছে। তবে, সকাল ও সন্ধ্যার সময় ধোঁয়াশার প্রভাব এখনও বিরাজমান। আবহাওয়া দপ্তর ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত ধোঁয়াশার সম্ভাবনা প্রকাশ করেছে। এর সাথে সাথে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী দিনগুলিতে হালকা গরম অনুভূতি তৈরি করবে। দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার পূর্বাভাস রয়েছে।

তবে, এনসিআরেও হালকা ধোঁয়াশার চাদর পড়ে থাকবে, যার ফলে যানবাহন চালকদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে। দূষণের মাত্রাও আবার বৃদ্ধি পেতে পারে, এবং দিল্লির কিছু এলাকায় বাতাসের মান সূচক (AQI) ৪০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। সুতরাং, যদি আপনি দিল্লি-এনসিআরে থাকেন, তাহলে বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করুন এবং বাতাস চলাচলের উপযুক্ত জায়গায় থাকুন।

উত্তর ভারতে শীতের প্রভাব অব্যাহত

উত্তর ভারতের অনেক অঞ্চলে শীতের প্রভাব এখনও স্পষ্ট। উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা এবং হিমাচল প্রদেশে শীত কমার নাম নেই। আবহাওয়া দপ্তর ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত এই অঞ্চলগুলিতে ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দিয়েছে। ১শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উত্তর প্রদেশের কিছু এলাকায় রাত এবং সকালের দিকে কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে দৃশ্যমানতা কমতে পারে এবং যানবাহন চলাচলে বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা এবং আসামে ধোঁয়াশার সম্ভাবনা

৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গা সমভূমি, ১শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উপ-হিমালয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিম, এবং ২য় ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিহার, ওড়িশা, আসাম এবং মেঘালয়ের কিছু এলাকায় ঘন কুয়াশা পড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। এই সময়কালে এই অঞ্চলগুলিতে সকাল ও সন্ধ্যার দিকে দৃশ্যমানতা কমতে পারে। সুতরাং, এই অঞ্চলে ভ্রমণকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

রাজস্থানে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, পশ্চিমী বিক্ষোভের প্রভাব

রাজস্থানে আবহাওয়ার রূপ কিছুটা বদলেছে। গত ৪৮ ঘন্টায় তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। জয়পুর আবহাওয়া কেন্দ্রের মতে, আগামী ৩-৪ দিন রাজ্যের অধিকাংশ এলাকায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে একটি নতুন পশ্চিমী বিক্ষোভ সক্রিয় হতে পারে। এর প্রভাবে রাজস্থানের কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে, যার মধ্যে উদয়পুর, কোটা, অজমের, জয়পুর, ভরতপুর এবং বিকানের অন্তর্ভুক্ত।

ঝাড়খণ্ডে শীত থেকে স্বস্তি, তাপমাত্রা বৃদ্ধি

ঝাড়খণ্ডেও শীতে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঝাড়খণ্ডের অধিকাংশ এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠেছে। রাঁচি আবহাওয়াবিদ্যা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী দুই দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। এর পর তাপমাত্রা স্থির থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীরে বরফপাত ও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস

জম্মু-কাশ্মীরে বরফপাত ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, জম্মু-কাশ্মীরে ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত বৃষ্টি ও বরফপাতের আরও এক দফা হতে পারে। কাশ্মীরে এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক বরফপাত হয়নি, এবং এখানকার মানুষের স্বস্তি পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে, ১শে ফেব্রুয়ারি থেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে, যার ফলে শীতে কিছুটা হ্রাস আসতে পারে।

৩১শে জানুয়ারি ২০২৫-এর আবহাওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীত, কুয়াশা এবং হালকা রোদের প্রভাব দেখা যাবে। দিল্লি-এনসিআরে কয়েকদিন ধোঁয়াশা থাকবে, অন্যদিকে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে কুয়াশা ও শীতের প্রভাব অব্যাহত থাকবে। রাজস্থানে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর ঝাড়খণ্ড এবং জম্মু-কাশ্মীরে শীত এবং বরফপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর এই অঞ্চলগুলির জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে, যার ফলে মানুষকে ভ্রমণ এবং আবহাওয়ার প্রতি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Leave a comment