দিল্লি-এনসিআর-এ আবহাওয়া বদলেছে এবং শীত তার থাবা আরও শক্ত করেছে। শুক্রবার রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টির পর শনিবার এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ দেখা গেছে। পার্বত্য এলাকায় একটানা তুষারপাতের কারণে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীত আরও বেড়েছে।
আবহাওয়া: উত্তর ভারতে শীতের প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। কাশ্মীর থেকে উত্তরকাশী পর্যন্ত চলছে ভারী তুষারপাত, যার কারণে সমতল এলাকাতেও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। দিল্লি-এনসিআর-এ শুক্রবার সারাদিন বৃষ্টির প্রভাব শনিবারও দেখা গেছে, যেখানে সারাদিন মেঘলা আকাশ ছিল এবং তাপমাত্রা অনেক কমে যায়।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনে শীত আরও বাড়তে পারে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানাতেও ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। দিল্লিতে এই ডিসেম্বরে গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জাতীয় রাজধানীর দিনের তাপমাত্রা ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে, যা এই মৌসুমের গড় তাপমাত্রার থেকে অনেক কম। শীত ও বৃষ্টির এই মিশ্র আবহাওয়ার কারণে জনজীবনও বিপর্যস্ত।
দিল্লিতে বৃষ্টির সতর্কতা
দিল্লিতে শনিবার সারাদিন মেঘলা আকাশের সাথে হালকা বৃষ্টির প্রভাব দেখা গেছে। আবহাওয়া দফতর আজ 'হলুদ সতর্কতা' জারি করে বৃষ্টির সম্ভাবনা জানিয়েছিল। ভারতীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের (আইএমডি) মতে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ছয় ডিগ্রি বেশি। গত ২৪ ঘন্টায় ৪২.১ মিমি বৃষ্টি হয়েছে, যার কারণে শীতের প্রভাব বেড়েছে। আজকেও রাজধানীতে মেঘলা আকাশ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ধামে ভারী তুষারপাত
উত্তরকাশীর গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ধামে ভারী তুষারপাতের কারণে শীতের প্রকোপ আরও বেড়েছে। প্রায় এক ফুট বরফ জমার কারণে শুধু উঁচু এলাকাতেই নয়, নীচু এলাকাতেও তাপমাত্রা কমে গেছে। আবহাওয়া দফতর সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, ২,২০০ মিটারের বেশি উচ্চতার এলাকায় ভারী তুষারপাত ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শীত আরও তীব্র হতে পারে, পাশাপাশি যান চলাচলও ব্যাহত হতে পারে। প্রদেশের অন্যান্য অংশেও তাপমাত্রা কমেছে, যার কারণে জনজীবনে শীতের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
এই রাজ্যগুলিতে বাড়ছে শীত
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে আবহাওয়া বদলেছে। রাজস্থানের অনেক জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। দৌসা, হনুমানগড় ও আলওয়ার সহ কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে, যেখানে রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকায় ঘন কুয়াশার সাথে তীব্র শীতের প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে। জয়সলমেরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনেও শীতের প্রভাব বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মধ্যপ্রদেশেও বৃষ্টির কারণে শীত বেড়েছে। শুক্রবার সারারাত বৃষ্টি এবং শনিবার সকালে মেঘলা আকাশের কারণে তাপমাত্রার পরিবর্তন দেখা গেছে। আবহাওয়া দফতর রাজ্যে শিলাবৃষ্টি, বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় এবং দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়াও, নতুন বছরের আগের সন্ধ্যা পর্যন্ত শীত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আবহাওয়ার এই পরিবর্তন উভয় রাজ্যেই শীতের নতুন পর্বের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
```
