ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ এবং বিজেপির সাবেক সাংসদ গৌতম গাম্ভীরকে ‘আইএসআইএস কাশ্মীর’ থেকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই হুমকির পর বুধবার গাম্ভীর দিল্লি পুলিশে যোগাযোগ করে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
অপরাধ সংবাদ: ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ব্যাটসম্যান এবং বিজেপির সাংসদ গৌতম গাম্ভীরকে ‘আইএসআইএস কাশ্মীর’ (ISIS Kashmir) নামক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন থেকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই হুমকির পর গাম্ভীর দিল্লি পুলিশে যোগাযোগ করে এবং নিজের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। দিল্লি পুলিশ এই ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।
হুমকির ঘটনা
২২শে এপ্রিল ২০২৫-তে গাম্ভীর দুটি আলাদা ইমেইল পান, যেখানে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘আইএসআইএস কাশ্মীর’ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। উভয় ইমেইলেই ‘আই কিল ইউ’ (আমি তোমাকে মেরে ফেলব) এরকম বার্তা ছিল। এটা প্রথমবার নয় যখন গৌতম গাম্ভীর এ ধরণের হুমকি পেয়েছেন। এর আগে ২০১৯ সালেও তিনি সাংসদ থাকাকালীন এ ধরণের হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন।
গাম্ভীর দিল্লি পুলিশকে অবিলম্বে এফআইআর দায়ের করার এবং তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছেন। পুলিশ কর্মকর্তারা এই ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হুমকির পর পুলিশের ব্যবস্থা
গাম্ভীরের নিরাপত্তা এবং হুমকির গুরুত্ব বিবেচনা করে দিল্লি পুলিশ মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। দিল্লি পুলিশের রাজেন্দ্র নগর থানা এবং মধ্য দিল্লির ডিসিপির মতে, বর্তমানে গাম্ভীরের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং তার পরিবারের সদস্যদের জন্যও নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে।
পুলিশ তদন্ত করছে যে এই হুমকির পেছনে কোন সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কের হাত আছে কিনা এবং এর পেছনে আর কী তথ্য পাওয়া যায়। গাম্ভীর আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছেও অনুরোধ করেছেন যে তারা অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক যাতে ভবিষ্যতে এ ধরণের কোন ঘটনা না ঘটে।
পহেলগাম সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিক্রিয়া
গৌতম গাম্ভীর সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা পর্যটকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। এই হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে দুজন বিদেশি নাগরিকও ছিলেন। এই হামলা ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গাম্ভীর সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘মৃতদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা। এর জন্য দায়ীদেরকে এর দাম দিতে হবে। ভারত এই হামলার জবাব দেবে।’ পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘লস্কর-ই-তৈয়বা’ (LeT) এই হামলার দায় স্বীকার করার পরেই তার এই বক্তব্য এসেছে।
গাম্ভীরের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
গৌতম গাম্ভীরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার পর তার নিরাপত্তা নিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। গাম্ভীর তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের জন্য পুলিশের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করেছেন। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি পুলিশ এটিকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছে এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে।