পাকিস্তানের হুমকির জবাবে ভারতের অভূতপূর্ব পাল্টা আঘাত

🎧 Listen in Audio
0:00

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জেনারেল ভারতকে হুমকি দিলেন—'পানি রোকবে তাহলে প্রাণ রোকবো'। জবাবে ভারত অপারেশন সিন্দুরের অধীনে ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক করে ১০০ সন্ত্রাসীকে নিহত করেছে।

পাকিস্তান: সম্প্রতি পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, যা ঠিক লস্কর-ই-তৈয়বা প্রধান ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হাফিজ সঈদের বক্তব্যের মতো। চৌধুরী পাকিস্তানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এই বক্তব্য দিয়েছেন, যেখানে তিনি সরাসরি ভারতকে হুমকি দিয়েছেন: “তোমরা যদি আমাদের পানি বন্ধ করো, তাহলে আমরা তোমাদের প্রাণ বন্ধ করে দেবো।”

সিন্ধু জল চুক্তিকে কেন্দ্র করে বিরোধের মূল

১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে জল বণ্টন নিয়ে 'ইন্ডাস ওয়াটার ট্রিটি' (Indus Waters Treaty) স্বাক্ষরিত হয়, যেখানে বিশ্বব্যাংক মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করেছিল। এই চুক্তির মাধ্যমে সিন্ধু নদী ও তার উপনদীগুলির জল বণ্টন করা হয়েছিল। কিন্তু যখন ভারতে সন্ত্রাসী হামলা হয়, বিশেষ করে যখন সেগুলি পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হয়, তখন ভারত বারবার বলেছে যে "রক্ত ও পানি একসাথে প্রবাহিত হতে পারে না।"

পাহালগাম হামলার পর ভারতের কঠোর পদক্ষেপ

২২শে এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলায় ভারতীয় জওয়ান শহীদ হন। এর পরদিনই ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে যতদিন পাকিস্তান সীমান্ত পারাপার সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করবে, ততদিন কোনও চুক্তি বা সমঝোতার কথা বলা যাবে না।

ভারত এর সাথে সাথে আটারী সীমান্তে অবস্থিত ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টও বন্ধ করে দেয় এবং পাকিস্তানের সাথে সকল ধরণের আলোচনা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। ভারতের এই পদক্ষেপ স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিল যে সন্ত্রাসী হামলা আর সহ্য করা হবে না।

অপারেশন সিন্দুর: ভারতের বড় প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ

ভারত শুধুমাত্র পাকিস্তানকে সতর্ক করে দেয়নি, বরং 'অপারেশন সিন্দুর' এর অধীনে ৭ই মে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপও নিয়েছে। এই অপারেশনে ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জইশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-তৈয়বা ও হিজবুল মুজাহিদিনের ৯টি ঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে।

এই হামলায় বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত জইশের সদর দপ্তর এবং মুরিদকে অবস্থিত লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। অপারেশনের ফলে প্রায় ১০০-এরও বেশি সন্ত্রাসীর নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ককে বড় ধাক্কা লেগেছে।

পাকিস্তানের ব্যর্থ প্রতিশোধমূলক প্রচেষ্টা

ভারতের হামলায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তান দ্রুত প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ভারতীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাকিস্তানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের হামলাকে আকাশেই ব্যর্থ করে দিয়েছে। এতটুকুই নয়, ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ২৩ মিনিট ধরে অচল করে রেখে ১১টি বিমান ঘাঁটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে।

ভারত সারগোধা, নুর খান, জাকাবাদ এবং রাহারিয়ার খানের মতো পাকিস্তানি বিমান ঘাঁটিতে সঠিক বোমা বর্ষণ করে, যার ফলে তাদের সামরিক ক্ষমতা প্রকাশিত হয়েছে। পাকিস্তানের পুরো পরিকল্পনা আবার ব্যর্থ হয়েছে।

পাকিস্তানকে ঘুঁটিতে আনার কৌশল

ভারতের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ এতটাই সঠিক ও ব্যাপক ছিল যে পাকিস্তানকে মাত্র দুই দিনের মধ্যেই যুদ্ধবিরতির দাবি করতে হয়েছে। পাকিস্তান জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক মঞ্চের কাছে আবেদন করেছে, কিন্তু ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এখন থেকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে 'শূন্য সহনশীলতা নীতি' গ্রহণ করা হয়েছে।

Leave a comment