নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার ফলে ভবনগুলি কেঁপে উঠে এবং আলমারি থেকে জিনিসপত্র পড়তে শুরু করে। সুনামির আশঙ্কা এড়ানো গেলেও, মানুষের মনে ভয় রয়ে গেছে।
নিউজিল্যান্ডে ভূমিকম্প: সোমবার নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপে তীব্র ভূমিকম্পের আঘাত অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ৬.৭ মাপা হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল স্ন্যারেস দ্বীপপুঞ্জ থেকে ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ছিল এবং এর গভীরতা ছিল ৩৩ কিলোমিটার। স্থানীয়রা জানিয়েছে যে ভূমিকম্পের কম্পনের ফলে ঘরবাড়িতে আলমারি থেকে জিনিসপত্র পড়ে এবং আসবাবপত্র কেঁপে ওঠে।
সুনামির আশঙ্কার মূল্যায়ন
ভূমিকম্পের অবিলম্বে পর নিউজিল্যান্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (নেমা) পরিস্থিতির মূল্যায়ন শুরু করে। তবে, অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় আবহাওয়া ব্যুরো স্পষ্ট করে দিয়েছে যে মূল ভূখণ্ড এবং দ্বীপপুঞ্জগুলির জন্য কোন সুনামির আশঙ্কা নেই। তবুও, সাবধানতা হিসেবে সাউথল্যান্ড এবং ফিওর্ডল্যান্ড অঞ্চলের মানুষকে সমুদ্র সৈকত এবং পানির কাছাকাছি যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
ভূমিকম্পের কম্পনে কেঁপে উঠেছে নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডের সরকারী ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা জিওনেটের মতে, ৪,৭০০-এর বেশি লোক এই ভূমিকম্প অনুভব করেছে। ডুনেডিন শহরেও মানুষ কম্পনে ভয় পেয়েছে। একজন ব্যক্তি জানিয়েছেন যে হাসপাতালের ৮ম তলায় পর্দাগুলি হঠাৎ করে কেঁপে উঠে এবং বিছানাও কাঁপতে শুরু করে। আরেকজন ব্যক্তি বলেছেন যে গাড়িতে বসে তিনি অনুভব করেছেন যেন গাড়িটি কোনো জোরালো ধাক্কায় কেঁপে উঠছে।
'রিং অফ ফায়ার'-এ অবস্থিত নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ড ভূমিকম্পের দিক থেকে সংবেদনশীল 'রিং অফ ফায়ার' অঞ্চলে অবস্থিত। এই অঞ্চলটি প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা ৪০,০০০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত আগ্নেয়গিরি এবং ভূমিকম্পের কেন্দ্র। এখানে প্রায়ই ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ঘটে।
এখনও পর্যন্ত কোনো বড় ধরণের ক্ষতি বা জনহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে, স্থানীয়রা এখনও আশঙ্কিত এবং কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ক্রমাগত আপডেটের অপেক্ষা করছে। নিউজিল্যান্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা মানুষকে সতর্ক থাকার এবং কোনও জরুরী অবস্থায় অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।