তুর্কমেনিস্তানে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত কে.কে. আহসান ওয়াগানকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং তাকে নির্বাসিত করা হয়েছে, যদিও তার কাছে বৈধ ভিসা এবং সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল।
আমেরিকা: তুর্কমেনিস্তানে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত কে.কে. আহসান ওয়াগানকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং তাকে নির্বাসিত করা হয়েছে। পাকিস্তানি নিউজ চ্যানেল সমা টিভির মতে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। লস অ্যাঞ্জেলেস বিমানবন্দরে আমেরিকার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাকে আটকে রেখে দেশ ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও ফিরিয়ে দেওয়া হলো
রাষ্ট্রদূত আহসান ওয়াগান ব্যক্তিগত কাজে আমেরিকা যাচ্ছিলেন। তার কাছে বৈধ আমেরিকান ভিসা এবং সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল, তারপরেও তাকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিমানবন্দরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং পরে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় আমেরিকা-পাকিস্তান সম্পর্কের মধ্যে নতুন উত্তেজনা যোগ হয়েছে।
পাকিস্তান আপত্তি জানিয়েছে, তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছে এবং লস অ্যাঞ্জেলেসে পাকিস্তানি কনস্যুলেটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সরকার বুঝতে চাইছে কেন বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও তাদের রাষ্ট্রদূতকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব?
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন নিয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। সম্প্রতি খবর এসেছে যে ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে। আমেরিকা এমন কিছু দেশের তালিকা তৈরি করেছে যেখানে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যেতে পারে।
কি পাকিস্তানকেও ব্ল্যাকলিস্ট করা হবে?
সূত্রের মতে, ট্রাম্প সরকার নিরাপত্তা ও ঝুঁকির পর্যালোচনার ভিত্তিতে কিছু দেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সাথে সাথে আরও কিছু দেশের নাম এই তালিকায় থাকতে পারে। তবে আমেরিকার কর্মকর্তারা এখনো এ ব্যাপারে কোনো সরকারি বিবৃতি দেননি।