জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ (UNHRC)-এর বৈঠকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আবারও তীব্র বাকবিতণ্ডা দেখা গেছে। ভারতের প্রতিনিধি ক্ষিতিজ ত্যাগী পাকিস্তানকে তীব্র জবাব দিয়ে বলেন, পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে মিথ্যা প্রচার করছে। তিনি পাকিস্তানের উপর জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন দাবি উত্থাপনের অভিযোগ আনেন, যখন ভারত এই অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের দিকে ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তানের বক্তব্যের খণ্ডন
ভারত পাকিস্তানের কাশ্মীর বিষয়ক মিথ্যা অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। ভারতের প্রতিনিধি ক্ষিতিজ ত্যাগী বলেন, "এটা দুর্ভাগ্যজনক যে পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা কাশ্মীর বিষয় নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছেন এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করছেন।" তিনি জোর দিয়ে বলেন যে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ সর্বদা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ থাকবে এবং পাকিস্তানের কোনো প্রচেষ্টাই তা পরিবর্তন করতে পারবে না।
জম্মু ও কাশ্মীরে অর্জিত অগ্রগতি তুলে ধরা
ভারত পাকিস্তানের অভিযোগের খণ্ডন করে বলেছে যে গত কয়েক বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে অভূতপূর্ব রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে। ভারতের প্রতিনিধি জানান, এই অগ্রগতি ভারত সরকারের প্রতিশ্রুতি ও জনগণের আস্থার স্পষ্ট প্রমাণ, যারা দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান প্রশ্রয়িত সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত এই অঞ্চলে শান্তি স্থাপনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
পাকিস্তানকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান
ভারত পাকিস্তানের উপর আক্রমণ চালিয়ে বলেছে যে পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র থেকে, যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সংখ্যালঘু নিপীড়ন সাধারণ ঘটনা, উপদেশ আশা করা যায় না। ভারত আরও অভিযোগ করেছে যে পাকিস্তান জাতিসংঘ কর্তৃক নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেয়, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
পাকিস্তানকে অভ্যন্তরীণ অবস্থা উন্নত করার পরামর্শ
ভারত পাকিস্তানের বক্তব্যকে ভণ্ডামি ও শাসন ব্যর্থতার উদাহরণ বলে আখ্যায়িত করে বলেছে যে পাকিস্তানকে প্রথমে নিজের অভ্যন্তরীণ সমস্যায় মনোযোগ দিতে হবে। তারা বলেছে, "পাকিস্তানকে ভারতের উপর অভিযোগ করার পরিবর্তে নিজ দেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থার দিকে নজর দিতে হবে।" এই বক্তব্য পাকিস্তানের কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের পর আসে, যার জবাব ভারত দৃঢ়ভাবে দিয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ বৃদ্ধি
UNHRC-এর অধিবেশনে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাকিস্তানের প্রতিনিধি আজম নাজির তারার কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উত্থাপনের পর ভারত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। ভারত স্পষ্ট করে বলেছে যে পাকিস্তানকে প্রথমে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানে মনোযোগ দিতে হবে, কারণ সেখানে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক নীতির অবস্থা দুর্বল।
