২০১৯ সালের আগস্ট মাসে ভারত সরকার কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ বিলোপ করেছিল। এই সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তানের জনমত গভীরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়, যার ফলে পাকিস্তান ভারত থেকে আমদানি বন্ধ করে দেয়।
India-Pakistan: ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ২০২৯ সাল থেকে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। পুলওয়ামা হামলার পর থেকে এই সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়। হামলার পর, ভারত পাকিস্তানকে ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’ স্ট্যাটাস থেকে বাদ দিয়েছে। ফলস্বরূপ, পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের কাস্টমস ডিউটি ২০০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর ভারতীয় ব্যবসায়ীরা পাকিস্তান থেকে আমদানি প্রায় বন্ধ করে দেয়।
কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০
২০১৯ সালের আগস্টে গৃহীত এই সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তানের জনমত অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়, যার ফলে পাকিস্তান ভারত থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করে। এর ফলে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কেবলমাত্র কূটনৈতিক সম্পর্ক নয়, বাণিজ্যিক সম্পর্কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই বছরের মার্চ মাসে পাকিস্তান স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা ভারতের সাথে তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে চায় না।
তবে, বাস্তবতা হল যে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধের ভারতের উপর তেমন কোন প্রভাব পড়ছে না, কিন্তু পাকিস্তানের ব্যবসায়ী এবং সাধারণ নাগরিকরা এই পরিস্থিতিতে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে
ভারতে খেজুর এবং সেন্ধা লবণের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানে বস্ত্র শিল্প এবং চিনি বাজার গুরুতর সংকটে পড়েছে। এছাড়াও, পাকিস্তানে উৎপাদিত ওষুধের জন্য প্রচুর পরিমাণে কাঁচামাল ভারত থেকে আসত, এবং ব্যবসা বন্ধ হওয়ার ফলে পাকিস্তানে মানসম্মত ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এর বাইরে, পাকিস্তান ভারত থেকে বিশেষ রাসায়নিক পণ্য, জিরা, ধনে এবং সরিষাও আমদানি করত। এই পরিস্থিতিতে, ভারতের সাথে ব্যবসা বন্ধ হওয়ার কারণে পাকিস্তানে কেবলমাত্র দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিই হয়নি, বহু মানুষ কাজ হারিয়েছে।