চীনের KD-21 ক্ষেপণাস্ত্রকে তার ভয়াবহ ক্ষমতার জন্য "ক্যারিয়ার কিলার" বলা হচ্ছে। এটি আসলে চীনের বিখ্যাত DF-21D ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন ও উন্নত সংস্করণ বলে মনে করা হচ্ছে।
Chinese KD-21 Missile: চীন সফলভাবে একটি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র KD-21-এর পরীক্ষা করেছে, যাকে "ক্যারিয়ার কিলার" হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ২৫০০ কিলোমিটার পরিসরে যেকোনো বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্য করতে পারে। মনে করা হচ্ছে এটি চীনের পূর্বে আলোচিত DF-21D ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত সংস্করণ।
এই পরীক্ষা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আগ্রাসী কৌশলের আরও একটি ইঙ্গিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মতো দেশগুলির উদ্বেগ আরও বেড়েছে, যারা ইতিমধ্যেই এই অঞ্চলে চীনের বর্ধমান সামরিক প্রভাব নিয়ে সতর্ক।
KD-21: চীনের নতুন মারণাস্ত্র
KD-21 ক্ষেপণাস্ত্রের নকশা ও প্রযুক্তিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে।
এটি অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেম এবং AI-চালিত টার্গেটিং প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত।
এই ক্ষেপণাস্ত্রের নির্ভুলতা ও মারণ ক্ষমতা এটিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক করে তুলেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ক্ষেপণাস্ত্র CM-401-এর মতো অ্যান্টি-শিপ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সাথে মিলে যায়, যার ফলে এর সমুদ্র ভিত্তিক এবং স্থল ভিত্তিক উভয় ধরণের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সম্ভাবনা প্রকাশিত হচ্ছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, যদি KD-21 কোনও বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের সংবেদনশীল অংশে আঘাত করে, তবে তা তাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসও করতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের উপর হুমকি
KD-21 ক্ষেপণাস্ত্রের প্রভাব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ঘাঁটিতে গুরুতর হতে পারে।
জাপান, ফিলিপাইন ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলির সামরিক ঘাঁটি এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরিসীমার মধ্যে পড়ে।
এই ক্ষেপণাস্ত্র আঞ্চলিক সামরিক ভারসাম্য পরিবর্তনের "গেমচেঞ্জার প্রযুক্তি" হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চীন এই ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে সমুদ্রে আধিপত্য স্থাপনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ভারতের নিরাপত্তার উপরও চাপ বৃদ্ধি
KD-21 ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের জন্যও উদ্বেগের বিষয় সৃষ্টি করেছে।
অরুণাচল প্রদেশ থেকে অন্ডোমান নিকোবর পর্যন্ত, চীন এই ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ভারতের কৌশলগত স্বার্থকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে।
ভারতের INS বিক্রান্ত ও INS বিক্রমায়দিত্যের মতো বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজগুলি এখন উচ্চ সতর্কতার দাবি করছে।
এই হুমকির জবাব দেওয়ার জন্য ভারতকে তার বহুস্তরীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজন। পাশাপাশি, মহাকাশ ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ এবং ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দ্রুত উন্নত করতে হবে।