আফগানিস্তানের ওয়াজিরिस्तान-এ টিটিপি-র সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ক্যাপ্টেন মুয়িজ আব্বাস শাহ। তিনি ২০১৯ সালে বালাকোটে বিমান হামলার পর अभिनंदन ভারধমানের কাছে হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে মনে করা হয়।
পাকিস্তান: পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরिस्तान অঞ্চল থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর এসেছে। तहरीক-এ-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর সঙ্গে সংঘর্ষে पाकिस्तानी সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মুয়িজ আব্বাস শাহ নিহত হয়েছেন। এই কর্মকর্তাটির নাম উঠে এসেছে ২০১৯ সালে বালাকোটে বিমান হামলার পর ভারতীয় উইং কমান্ডার अभिनंदन ভারধমানের কাছে হস্তান্তরের ক্ষেত্রে।
আইএসপিআর-এর পক্ষ থেকে নিশ্চিত, দুই সেনা সদস্য নিহত
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং আইএসপিআর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, গত ২৪ জুন, ২০২৫ সালে খাইবার পাখতুনখওয়ার দক্ষিণ ওয়াজিরिस्तान জেলার সরোগা এলাকায় একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে ক্যাপ্টেন মুয়িজ আব্বাস শাহ এবং ল্যান্স নায়েক জিবরান নিহত হন। সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, এই সংঘর্ষে টিটিপি-র ১১ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।
টিটিপি-র বিরুদ্ধে বহু অভিযানে ক্যাপ্টেন মুয়িজের অংশগ্রহণ
আইএসপিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, ক্যাপ্টেন মুয়িজ আব্বাস শাহ পাকিস্তান-এর অভ্যন্তরে জঙ্গি বিরোধী বহু অভিযানে তাঁর সাহসিকতার জন্য পরিচিত ছিলেন। সেনাবাহিনী তাঁকে দেশের জন্য শহীদ হিসেবে অভিহিত করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
২০১৯ সালে ভারত-পাক মেশকাতের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখে পুলওয়ামায় জায়েশ-এ-মোহাম্মদের আত্মঘাতী হামলায় सीआरपीएफ-এর ৪০ জন জওয়ান নিহত হন। এই হামলার পর ভারত ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে জায়েশের জঙ্গি আস্তানাগুলোতে বিমান হামলা চালায়। ভারতীয় বিমানবাহিনী এই পদক্ষেপের সময় স্পষ্ট করে জানিয়েছিল যে, এটি জঙ্গি কাঠামোর বিরুদ্ধে ছিল, কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয়।
উইং কমান্ডার अभिनंदन ভারধমানের বীরত্ব
২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান পাল্টা হামলার চেষ্টা করে। এই সময় উইং কমান্ডার अभिनंदन ভারধমান মিগ-২১ বাইসন উড়ন্ত অবস্থায় একটি পাকিস্তানী এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে অনুসরণ করে ভূপাতিত করেন। যদিও এই dogfight-এর সময় তাঁর মিগ-২১ বিমানটি বিধ্বস্ত হয় এবং তাঁকে বিমান থেকে অবতরণ করতে হয়। তিনি প্যারাসুটের মাধ্যমে পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীর (PoK)-এ অবতরণ করেন।
PoK-তে আটক
উইং কমান্ডার অবতরণের পর সেখানে স্থানীয় জনতা তাঁকে আক্রমণ করে। আত্মরক্ষার্থে তিনি তাঁর সার্ভিস রিভলভার থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়েন, কিন্তু দ্রুতই পাকিস্তানীরা তাঁকে আটক করে নেয়। পরবর্তীতে পাকিস্তানীরা একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে अभिनंदन শান্তভাবে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন দেখা যায়। এই ভিডিওটি ভারতীয় বিমানবাহিনীর শৃঙ্খলা ও সাহসের উদাহরণ হিসেবে বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়।
ক্যাপ্টেন মুয়িজ আব্বাস শাহের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
উইং কমান্ডার अभिनंदन ভারধমানের আটক হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানীরা দাবি করেছিল যে, ক্যাপ্টেন মুয়িজ আব্বাস শাহ তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় আটক করেছিলেন। যদিও ভারত এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। এখন সেই একই কর্মকর্তা পাকিস্তান-এ জঙ্গি সংগঠন টিটিপি-র হামলার শিকার হয়েছেন।