ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় বিশ্বের উদ্বেগ, G7-এর আহ্বান

🎧 Listen in Audio
0:00

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বর্ধমান উত্তেজনায় বিশ্ব উদ্বিগ্ন। মহাশক্তিগুলি উভয় দেশের সাথেই যোগাযোগ রাখছে। G7 একটি বিবৃতি প্রকাশ করে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের ঢেউ তুলেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পাহলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর উভয় দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আঞ্চলিক স্থিরতার জন্য হুমকি তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের সাতটি সর্বাধিক উন্নত দেশের গোষ্ঠী G7 উভয় দেশকে সরাসরি আলোচনা এবং সংযমের আহ্বান জানিয়েছে।

G7 দেশগুলির যৌথ বিবৃতি

কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা শনিবার একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে ভারত এবং পাকিস্তান উভয়কেই উত্তেজনা না বাড়ানো এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা ২২ এপ্রিল পাহলগামে সংঘটিত হামলাকে "ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী ঘটনা" বলে অভিহিত করেছেন এবং তার তীব্র নিন্দা করেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 'সৃজনশীল আলোচনা'-তে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যা G7-এর প্রধান সদস্য, সাম্প্রতিক দিনগুলিতে ভারত এবং পাকিস্তানের নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনিরের সাথে কথা বলেছেন এবং ইঙ্গিত দিয়েছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতার জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেছেন যে সামরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি আঞ্চলিক স্থিরতার জন্য গুরুতর হুমকি হতে পারে।

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে অবিরাম হামলায় সংকট বৃদ্ধি

সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত পাকিস্তান এবং POK-এ ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করেছে। এর জবাবে পাকিস্তান ভারতের উপর ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে আক্রমণের চেষ্টা করেছে, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যর্থ করে দিয়েছে। বুধবার থেকে উভয় দেশের মধ্যে অবিরাম হামলা চলছে, যা বিশ্বব্যাপী উত্তেজনা এবং উদ্বেগ আরও গভীর করে তুলেছে।

মার্কিন নেতাদের বক্তব্যে দ্বিমত

যেখানে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তেজনাকে "লজ্জাজনক" বলে অভিহিত করেছেন, সেখানে উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভেন্স স্পষ্ট করে বলেছেন যে "ভারত-পাক যুদ্ধে আমেরিকার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।" এই বিবৃতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে, তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান এখনও শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে স্পষ্ট।

Leave a comment