উত্তরপ্রদেশে ঈদের নামাজ: সংঘর্ষ, পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি, ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন

🎧 Listen in Audio
0:00

উত্তরপ্রদেশে ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে হইচই! মেরঠ-মুরাদাবাদে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ, সাহারানপুরে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন। আখিলেশ বলেন- এটা স্বৈরাচার, বিজেপি জনগণকে প্রকৃত সমস্যা থেকে বিভ্রান্ত করছে।

UP News: ঈদ-উল-ফিতর ২০২৫ উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন শহরে ঈদগাহ ও মসজিদে বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়। তবে, রাস্তায় নামাজ পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক জায়গায় পুলিশ ও নামাজিদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। মেরঠ, মুরাদাবাদ ও সাহারানপুরে সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা দেখা গেছে, যেখানে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।

মেরঠ: ঈদগাহে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, পুলিশ বাধা দিয়েছে

মেরঠে ঈদগাহে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অনেক জায়গায় পুলিশ ও নামাজিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। প্রশাসন ঈদগাহ ভরে যাওয়ার পর নিরাপত্তার কারণে সব প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেয়, ফলে ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে। পুলিশ কোনোমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং পরে মানুষকে বিভিন্ন শিফটে নামাজ আদায়ের অনুমতি দেয়।

মুরাদাবাদ: ঈদগাহ পূর্ণ, রাস্তায় নামাজকে কেন্দ্র করে হইচই

মুরাদাবাদের গালশহীদ এলাকার ঈদগাহে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা আছে, কিন্তু সোমবার সকালে তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়। ঈদগাহ পুরোপুরি পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর পুলিশ বাইরে থেকে আসা নামাজিদের বাধা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু মানুষ রাস্তায় নামাজ আদায় করার চেষ্টা করে, যা পুলিশ ঠেকিয়ে দেয়। বিরোধ বাড়লে প্রশাসন দ্বিতীয় শিফটে নামাজের ব্যবস্থা করে, ফলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সাহারানপুর: নামাজের পর ফিলিস্তিনের পতাকা

সাহারানপুরে ঈদের নামাজ শান্তিপূর্ণভাবে আদায় করা হয়, কিন্তু পরে কিছু মানুষ ফিলিস্তিনের সমর্থনে পতাকা উত্তোলন করে। এছাড়াও, কিছু নামাজি হাতে কালো পটি বেঁধে তাদের প্রতিবাদ জানায়। পুলিশ-প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিল এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রোধ করার জন্য বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

লখনউ: আখিলেশ যাদবকে পুলিশ বাধা দিয়েছে

লখনউতে সমাজবাদী নেতা আখিলেশ যাদব ঐশ্বাবাগ ঈদগাহে যান, যেখানে তিনি প্রশাসনের ওপর গুরুতর অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, "আগে কখনো এত ব্যারিকেড দেখিনি, আমাকে এখানে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। অনেক কষ্টে আমি আসতে পেরেছি। এটি স্বৈরাচার যে অন্য ধর্মের উৎসবে যোগদান করা সম্ভব হয়নি।"

এছাড়াও, আখিলেশ যাদব কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ওপর তীব্র আক্রমণ চালিয়ে বলেন যে দেশের সংবিধান সবচেয়ে বড় বিপদের মুখে। তিনি অভিযোগ করেন যে বিজেপি মানুষকে প্রকৃত সমস্যা থেকে বিভ্রান্ত করছে এবং দুর্নীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা, অনেক জেলায় পুলিশ সতর্ক অবস্থায়

ঈদকে সামনে রেখে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় পুলিশ ও প্রশাসন পুরোপুরি সতর্ক অবস্থায় ছিল। অনেক সংবেদনশীল এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। মেরঠ, মুরাদাবাদ, সাহারানপুর ও লখনউতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রোধ করার জন্য পুলিশ ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করে।

Leave a comment