লখনউতে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের অধ্যক্ষতায় ইউপি কেবিনেটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব পাস করা হয়েছে এবং অপারেশন সিন্দুরের সাফল্যের উপর অভিনন্দন প্রস্তাবকেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ইউপি কেবিনেট: উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউতে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের অধ্যক্ষতায় অনুষ্ঠিত কেবিনেট বৈঠকে সরকার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবকে অনুমোদন দিয়েছে। এই বৈঠকে বিশেষ করে অপারেশন সিন্দুরের ব্যাপক সাফল্যের উপর অভিনন্দন প্রস্তাবকেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা সমগ্র রাজ্য জুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে। আসুন জেনে নিই কেবিনেট বৈঠকে পাস হওয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবগুলির সম্পূর্ণ তালিকা এবং তাদের প্রভাব সম্পর্কে।
১. অপারেশন সিন্দুরের সাফল্যের উপর অভিনন্দন প্রস্তাব
কেবিনেট অপারেশন সিন্দুরের সাফল্যকে প্রশংসা করেছে এবং এর উপর অভিনন্দন প্রস্তাবকে অনুমোদন দিয়েছে। এই অপারেশন আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে ইউপি সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রমাণ দিয়েছে। এই প্রস্তাব রাজ্যের সকল বিভাগ এবং নাগরিকদের মধ্যে উৎসাহের সঞ্চার করবে।
২. কৃষি বিভাগের সাথে সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত
কেবিনেট উত্তর প্রদেশে একটি নতুন সিড পার্ক স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। এই সিড পার্ক ভারতরত্ন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংহের নামানুসারে হবে। এটি লখনউতে ১৩০.৬৩ একর জমিতে নির্মিত হবে, যাতে প্রায় ২৫১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে কৃষকরা উন্নতমানের বীজ পাবে এবং কৃষিক্ষেত্রকে শক্তিশালী করা যাবে।
৩. নগর উন্নয়ন বিভাগের অনুমোদন
অমৃত পরিকল্পনার অধীনে নগর নিকায়ের অংশ হ্রাস করার প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। এছাড়াও, অমৃত পরিকল্পনা ১-এ সাতটি নিকায়ের ৯০ কোটি টাকার অংশ মওকুফ করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে নগর উন্নয়নে ত্বরণ আসবে এবং স্থানীয় নিকায়গুলি অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে।
৪. পশুপালন ও দুগ্ধ উন্নয়নে উন্নতি
কেবিনেট উত্তর প্রদেশ দুগ্ধশালা উন্নয়ন ও দুগ্ধ উৎপাদন উৎসাহীকরণ নীতি ২০২২-তে সংশোধন করেছে। নতুন নীতি অনুযায়ী দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট স্থাপনে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হবে এবং মূলধনী অনুদান ৩৫% পর্যন্ত দেওয়া হবে। এর ফলে রাজ্যে ডেয়ারি শিল্পকে শক্তিশালী করা যাবে এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পাবে।
৫. শিল্প উন্নয়ন বিভাগের প্রস্তাব
রায়বেরেলীর মেসার্স RCCPL কোম্পানিকে সাবসিডিতে উন্নতির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রয়াগরাজ, হাপুড়, মুজফ্ফরনগর, লক্ষীমপুর এবং চাঁদপুরের কোম্পানিগুলিকে মোট ২০৬৭ কোটি টাকার এলওসি (লাইন অফ ক্রেডিট) দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে রাজ্যে শিল্পের উন্নয়ন হবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
৬. গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নকে উৎসাহিত করা
গ্রাম সভা, ইত্যাদির বৈঠকের ব্যয়ের জন্য তহবিল বৃদ্ধির নীতিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে গ্রামীণ এলাকায় পঞ্চায়েতের উন্নয়ন হবে এবং স্থানীয় প্রশাসন শক্তিশালী হবে।
৭. পঞ্চায়েত রাজ বিভাগের সিদ্ধান্ত
পঞ্চায়েত উৎসব ভবনের নামকরণের প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত গ্রামীণ উন্নয়ন এবং পঞ্চায়েতের প্রতি সরকারের সংবেদনশীলতাকে প্রতিফলিত করে।
৮. নাগরিক বিমান চলাচল বিভাগে উন্নতি
চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের পারিশ্রমিক পুনঃনির্ধারণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে পাইলট, কো-পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রযুক্তিগত ও অপ্রযুক্তিগত কর্মীরা সপ্তম বেতন কমিশনের অনুযায়ী বেতন পাবে। এটি কর্মীদের স্বার্থে একটি বড় পদক্ষেপ।
ইউপি সরকারের এই সিদ্ধান্তগুলি থেকে কি পাওয়া যাবে?
কৃষকদের উন্নত বীজ এবং কৃষি সুবিধা
- নগর উন্নয়নে অর্থনৈতিক সুবিধা
- দুগ্ধ শিল্পে নতুন উৎসাহ
- শিল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি
- গ্রামীণ পঞ্চায়েতের শক্তিশালীকরণ
- কর্মীদের উন্নত বেতন এবং সুবিধা
```