ট্রাম্পের প্রশংসা: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে আমেরিকার ভূমিকা

🎧 Listen in Audio
0:00

১১ই মে একটি পোস্টে আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তানের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে সহায়তা করতে পেরে আমেরিকা গর্বিত।

ওয়াশিংটন। সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়েছে, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমেছে। এদিকে, আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বড় বক্তব্য সকলকে অবাক করে দিয়েছে। তিনি বলেছেন যে, এখন কাশ্মীরের মতো জটিল সমস্যার সমাধানও বের করা সম্ভব।

ভারতের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ: অপারেশন সিন্দুর

জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসবাদীরা একটি বড় আক্রমণ চালিয়েছিল, যাতে ভারতীয় জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। এর প্রতিশোধে ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে)-তে অবস্থিত সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিতে এয়ার স্ট্রাইক করেছিল। ভারতীয় সেনা এই অভিযানের নাম দিয়েছিল "অপারেশন সিন্দুর"।

ভারতের এই পদক্ষেপের পর পাকিস্তানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রতিশোধে পাকিস্তান জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাটের অনেক অঞ্চলে ড্রোনের মাধ্যমে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। তবে, ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সময়মতো সকল ড্রোন ধ্বংস করে দেয়।

পাকিস্তানের পদক্ষেপের কড়া জবাব দিল ভারত

পাকিস্তানের এই কার্যকলাপের প্রতিবাদে ভারত আবারও কঠোর অবস্থান নেয় এবং পাকিস্তানের চারটি এয়ারবেসকে লক্ষ্য করে তাদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, সীমান্তে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।

ট্রাম্পের দাবি: যুদ্ধবিরতিতে আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

এদিকে, আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ১১ই মে সকালে একটি পোস্ট করে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, "ভারত ও পাকিস্তানের দৃঢ় ও অটল নেতৃত্বে আমি গর্বিত। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে সহায়তা করতে পেরে আমেরিকা গর্বিত।"

ট্রাম্প আরও বলেছেন যে, যদিও কাশ্মীর নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি, তবে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের সাথে মিলে ব্যবসা বৃদ্ধি এবং দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা কাশ্মীর বিরোধের সমাধানের চেষ্টা করবেন।

যুদ্ধবিরতির আগে আমেরিকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা

ট্রাম্পের বক্তব্য অনুসারে, আমেরিকা এই চুক্তি করানোতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিয়ো এবং উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভেন্স জানিয়েছেন যে, তারা পুরো রাত ধরে ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ নেতাদের সাথে আলোচনা করেছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথেও আলোচনা হয়, যার পর যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়।

যুদ্ধবিরতির পরও পাকিস্তানের কার্যকলাপ

যুদ্ধবিরতির ঘোষণা শনিবার করা হয়েছিল, কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পাকিস্তান আবার ড্রোন পাঠিয়ে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। ভারতীয় সেনা অবিলম্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট যে, পাকিস্তানের উপর এখনও বিশ্বাস করা কঠিন।

Leave a comment