সৌরভ হত্যাকাণ্ড: আদালত ও জেলে পিটুনি, নেশা ও তান্ত্রিক ক্রিয়া উন্মোচন

🎧 Listen in Audio
0:00

সৌরভ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সাহিল ও মুস্কানকে আদালত ও জেলে পিটুনি দেওয়া হয়েছে। সাহিল সৌরভের হত্যার জন্য মুস্কানের উপর চাপ প্রয়োগের অভিযোগ করেছে, জেলে তাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

সৌরভ হত্যাকাণ্ড: সৌরভ রাজপুত হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত সাহিল ও মুস্কানকে প্রথমে আদালতে আইনজীবীরা পিটুনি দিয়েছে এবং পরে জেলে বন্দীরা সাহিলকে ব্যাপক পিটুনি দিয়েছে। সাহিলকে বাঁচাতে বন্দী রক্ষীরা এসেছিল, কিন্তু জেলে তার গুরুতর আঘাত লেগেছে। সাহিলের মুখে পিটুনির চিহ্ন ছিল, যা এই হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতা এবং কঠোর শাস্তির নিশ্চয়তা দিয়েছে।

সাহিল করেছে হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর উন্মোচন

জেলে বন্দীদের সাথে কথোপকথনের সময় সাহিল উন্মোচন করেছে যে মুস্কানই সৌরভের হত্যার জন্য তাকে বারবার চাপ দিয়েছিল। সাহিল জানিয়েছে, ক্রোম হোটেলে মুস্কানের জন্মদিনের পার্টিতে সে সৌরভের সাথে ভিডিওতে নাচ করছিল, যা দেখে সাহিলের রক্তে রক্ত জ্বলে উঠেছিল। এই ঘটনার পর, মুস্কান এবং সাহিল সৌরভকে নেশার ওষুধ দিয়ে অজ্ঞান করে তারপর তার হত্যা করে।

তান্ত্রিক ক্রিয়া এবং মৃতদেহ লুকানো

হত্যার পর, তারা দুজনেই সৌরভের মাথা ও হাত কেটে তাদের বাড়িতে তান্ত্রিক ক্রিয়া করে। তারপর তারা মৃতদেহটি ড্রামে রেখে সিমেন্ট দিয়ে সিল করে ড্রামটি সিল করে শিমলা, মানালি এবং কাসোল ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ে। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের পর মুস্কান সত্য উন্মোচন করেছে, যার ফলে পুলিশ তাদের দুজনকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে।

সাহিল ও মুস্কানের নেশার আসক্তি

জেলে তাদের দুজনের নেশার আসক্তিও একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। সাহিল ও মুস্কানের নেশার গোলী চাওয়ার অভ্যাসের কারণে তাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তারা দুজনেই হিমাচল ভ্রমণের সময় মদ ও নেশার গোলী খেত, যা এখন জেলে বন্দীদের কাছ থেকে চাচ্ছে। জেল প্রশাসন তাদের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে এবং তাদের দুজনের কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।

জেল প্রশাসনের স্পষ্টীকরণ

জেল অধীক্ষক বীরেশ রাজ শর্মা এই ঘটনা সম্পর্কে বলেছেন যে মুস্কান ও সাহিলের নিরাপত্তা প্রথম দিন থেকেই বাড়ানো হয়েছিল এবং জেলে তাদের দুজনকে পিটুনি দেওয়া হয়নি, যদিও বাইরে থেকে আসা বন্দীরা এ ব্যাপারে তথ্য দিয়েছে। জেল প্রশাসন এই ঘটনাক্রম নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি, কিন্তু তাদের দুজনের কার্যকলাপের উপর ক্রমাগত নজর রাখা হচ্ছে।

Leave a comment