শিলিগুড়িতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। উত্তরকন্যার সংলগ্ন জঙ্গল থেকে ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর এবার নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। মৃত ছাত্রীর জুতো পাওয়া গেছে তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বাড়িতে। শুধু তাই নয়, ওই বাড়ির ঘর থেকেই উদ্ধার হয়েছে বিয়ারের বোতল। এই নতুন তথ্য তদন্তে এক নতুন মোড় এনে দিয়েছে।
পুলিশের অনুমান, ঘটনার সূত্রপাত ওই বন্ধুর বাড়িতেই হতে পারে। কারণ, যে জায়গা থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, তা ওই বন্ধুর বাড়ি থেকে খুব বেশি দূরে নয়। ফলে ছাত্রীটি সেখানে কীভাবে পৌঁছল, মৃত্যুর আগে সে কোথায় ছিল—এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলি
শেষ মুহূর্তে কী ঘটেছিল?
পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই ছাত্রী। সে জানিয়েছিল, দুই বন্ধু ও এক বান্ধবীর সঙ্গে বিরিয়ানি খেতে যাবে। রাস্তায় পিসির সঙ্গে দেখা হলেও সে বাড়ি ফেরেনি। বিকেল পেরিয়ে গেলেও যোগাযোগ না হওয়ায় উদ্বেগ বাড়তে থাকে পরিবারের।
এর কিছুক্ষণ পরেই ছাত্রীর এক বন্ধু ফোন করে জানায়, জঙ্গল থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই বন্ধুরাই দেহ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের গুরুতর অভিযোগ
মৃত ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, তাকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। ছাত্রীটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন, আঁচড়ের দাগ এবং গলায় কালশিটে পাওয়া গেছে বলে দাবি পরিবারের। এ ঘটনায় এনজেপি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
তদন্তে নেমেছে পুলিশ, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে
ঘটনার পরপরই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ছাত্রীটির দুই বন্ধু ও এক বান্ধবীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রশ্ন উঠছে, ছাত্রীর মৃত্যুর পেছনে পরিকল্পিত কোনও ষড়যন্ত্র আছে কি না। বন্ধুর বাড়ি থেকে তার জুতো উদ্ধার হওয়া এবং বিয়ারের বোতল পাওয়া—এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র তদন্তকারীদের সামনে নতুন প্রশ্ন তৈরি করেছে। পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে, ওই বাড়িতে কী ঘটেছিল এবং ছাত্রীর শেষ মুহূর্তের অবস্থান সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে।