শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের জেরে মমতা সরকারের বিপাকে, রাহুল গান্ধী রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন, ছাত্ররা মমতার উদ্যোগকে ‘ললিপপ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
Teacher Recruitment Case: পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি বাতিল হওয়া শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নতুন রাজনৈতিক মোড় নিয়েছে। একদিকে যদিও ভারতীয় জনতা পার্টি মমতা ব্যানার্জী সরকারের উপর নিরন্তর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে এবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেছেন। তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে পত্র লিখে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন যাতে যোগ্য শিক্ষকরা ন্যায়বিচার পান।
রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তক্ষেপের আবেদন রাহুল গান্ধীর
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী তার পত্রে লিখেছেন যে, শিক্ষক শিক্ষা অধিকার মঞ্চ (Teacher Education Rights Forum) -এর প্রতিনিধি দল তাঁর সাথে যোগাযোগ করেছে এবং রাষ্ট্রপতির এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে। তিনি বলেছেন যে, ন্যায়পালিকা কর্তৃক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হওয়ার ফলে হাজার হাজার যোগ্য শিক্ষকের চাকরি চলে গেছে, যারা এখন অত্যন্ত হতাশ।
উচ্চ ন্যায়ালয় ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ে শিক্ষকদের উদ্বেগ বৃদ্ধি
কলকাতা হাইকোর্ট এবং পরে সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম পেয়ে তা বাতিল করে দিয়েছে। যদিও রায়ে এটাও স্বীকার করা হয়েছে যে কিছু প্রার্থী নিরপেক্ষভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাহুল গান্ধী বলেছেন যে, সেই নির্দোষ শিক্ষকদের দোষীদের সাথে একই ভাবে ব্যবহার করা অযৌক্তিক।
‘দোষীদের শাস্তি, কিন্তু নির্দোষদের ন্যায়বিচার’
রাহুল গান্ধী তার পত্রে লিখেছেন, “নিয়োগে যে অনিয়ম হয়েছে তার জন্য দোষীদের শাস্তি পেতে হবে, কিন্তু যারা কোন অনিয়ম ছাড়াই নির্বাচিত হয়েছিলেন তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা গুরুতর অন্যায়। এমন ব্যক্তিদের পুনরায় পদে পুনর্বহাল করা উচিত।”
ছাত্রদের পড়াশোনার উপরও প্রভাব পড়ছে
তিনি এটাও সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যোগ্য ও নির্দোষ শিক্ষকদের যদি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়, তাহলে লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে শিক্ষাব্যবস্থা দুর্বল হবে এবং শিক্ষকদের মনোবল ভেঙে পড়বে।
রাষ্ট্রপতির কাছে ন্যায়ের আশা
রাহুল গান্ধী রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করে বলেছেন যে, এই মানবিক সংকট বুঝে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচিত শিক্ষকদের সাহায্য করা উচিত। তিনি সরকারের কাছে এই বিষয়ে বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন যাতে নির্দোষ শিক্ষকদের পুনরায় সেবায় নিয়োগ করা যায়।