সংयुक्त সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) এক জাতি-এক নির্বাচন সংক্রান্ত দুটি বিলের উপর সাধারণ একমতের চেষ্টা করছে। এই বিলগুলি শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভায় উত্থাপিত হয়েছে, যার বিরোধিতা করছে বিরোধী দল।
এক জাতি-এক নির্বাচন: আজ, ৮ জানুয়ারি, সংयुक्त সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) এর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে এক জাতি-এক নির্বাচন সংক্রান্ত দুটি বিল নিয়ে আলোচনা হবে। ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ এবং কমিটির সভাপতি পিপি চৌধুরী বলেছেন যে সকল সদস্যের মধ্যে সাধারণ একমত তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি এই বিষয়ে একমত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
পিপি চৌধুরী এর বক্তব্য
পিপি চৌধুরী বলেন, “আমাদের চেষ্টা সকল পক্ষের কথা শুনা, যেমন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ বা বিচার বিভাগ। আমরা সকলের ইনপুট নিতে চাই এবং সরকারের বিলগুলির ন্যায়সঙ্গতভাবে তদন্ত করব। আমরা সাধারণ একমতের চেষ্টা করছি এবং আমার বিশ্বাস, আমরা দেশের হিতের জন্য কাজ করব।” তিনি আরও বলেন যে কমিটি দলীয় লাইন ছাড়িয়ে দেশের স্বার্থে কাজ করবে এবং স্বচ্ছতার সাথে আলোচনা চলবে।
জেপিসিতে অন্তর্ভুক্ত প্রধান নেতা
জেপিসিতে লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্যরা রয়েছেন। এর মধ্যে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, মানিষ তিবরী, এনসিপি-র সুপ্রিয়া সুলে, তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভারতীয় জনতা পার্টির পিপি চৌধুরী, বানসুরী স্বরাজ এবং অনুরাগ সিংহ ठाकुर অন্যতম।
সরকার শীতকালীন অধিবেশনে বিল উত্থাপন করেছে
কেন্দ্রীয় সরকার শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন এক জাতি-এক নির্বাচন বাস্তবায়নের জন্য দুটি বিল লোকসভায় উত্থাপন করেছিল। প্রথম বিল হল ১২৯ তম সংবিধান সংশোধনী বিল-২০২৪, আর দ্বিতীয়টি হল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন সংশোধনী বিল-২০২৪। এই বিল পাশ হলে দেশে একসাথে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম হবে।
বিরোধী দলের প্রতিবাদ: সাংবিধানিক কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন
বিরোধী দলের মতে, এক জাতি-এক নির্বাচন থেকে সরকারি দলের লাভ হতে পারে এবং এই বিল রাজ্য সরকারের স্বায়ত্তশাসন কমাতে পারে। বিরোধী দলের বিশ্বাস, এই প্রস্তাব সংবিধানের কাঠামোর বিরুদ্ধে। তবে, কেন্দ্রীয় আইন ও ন্যায় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বলেন, এই প্রস্তাব বাস্তবসম্মত এবং গুরুত্বপূর্ণ, এবং দেশের প্রশাসনিক অবস্থার উন্নতির জন্য এটি অপরিহার্য।