লোকসভায় আজ ১২ ঘণ্টা বিশেষ আলোচনা হবে সংবিধানের ইতিহাস সম্পর্কে। এই আলোচনার পরে শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদী এর জবাবে বক্তব্য রাখবেন। অন্যদিকে, সংবিধানের রক্ষা করার ওপর জোর দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে ভূমিকা পালনকারী নেতা রাহুল গান্ধী বিরোধীদের তরফ থেকে আলোচনায় তাঁর কৌশল নতুন রূপে তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সংসদ অধিবেশন: শুক্রবার থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভায় সংবিধানের ৭৫ বছরের ঐতিহাসিক যাত্রা নিয়ে বিশেষ আলোচনা শুরু হবে। এই আলোচনায় ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল দুটিই একে অপরের ওপর তীক্ষ্ণ আক্রমণ চালাবার কৌশল তৈরি করেছে। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে রক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ আলোচনা শুরু করবেন, অন্যদিকে বিরোধীদের পক্ষ থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আলোচনার ধারণা নির্ধারণ করবেন।
সংবিধান নিয়ে ১২ ঘণ্টা আলোচনা
লোকসভায় সংবিধানের ইতিহাস নিয়ে ১২ ঘণ্টার আলোচনার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই আলোচনা দুই দিন চলবে, এবং শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আলোচনার জবাব দিবেন। এই সময় বিরোধীরা ভারতীয় জনতা পার্টি এবং আরএসএস-এর দাবি করা রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসকে জরুরি অবস্থা এবং অনুচ্ছেদ ৩৫৬-এর দুর্ব্যবহারের মতো পুরোনো বিষয়ে আক্রমণ করার চেষ্টা করবে।
ক্ষমতাসীন দলের কংগ্রেসের প্রতি নজর
ক্ষমতাসীন দল তাদের মিত্র দলের নেতাদেরও কংগ্রেসের প্রতি আক্রমণের কৌশলে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ভারতীয় জনতা পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা এবং মিত্র দলের প্রধান নেতা, যেমন এইচডি কুমারস্বামী, চিরাগ পাশবান এবং রাজীব রঞ্জন সিংহ, কংগ্রেসকে আলোচনায় প্রশ্নের মুখোমুখি করবেন। অন্যদিকে, বিরোধী দল সংবিধানের বর্তমান অবস্থায় গভীর সংকট এবং সরকারের নীতির তীক্ষ্ণ আক্রমণ করবে।
রাজ্যসভায়ও শুরু হবে আলোচনা
লোকসভায় আলোচনা শেষ হওয়ার পর রাজ্যসভায় ১৬ এবং ১৭ ডিসেম্বর সংবিধান নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ উচ্চ সদনে আলোচনার শুরু করবেন। এই আলোচনার লক্ষ্য সংবিধানের ঐতিহাসিক যাত্রা পর্যালোচনা করা, কিন্তু এটি রাজনৈতিক কৌশলের জটিলতা থেকে মুক্ত থাকবে না।