রেলওয়ে ওয়েটিং টিকিট কনফার্মেশনের সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন তথ্য ৪ ঘন্টার পরিবর্তে ২৪ ঘন্টা আগে পাওয়া যাবে। পাইলট প্রজেক্ট বিকানের ডিভিশনে শুরু হয়েছে।
দিল্লি: ভারতীয় রেলওয়ে যাত্রীদের সুবিধার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। এখন ওয়েটিং লিস্টে থাকা যাত্রীরা ট্রেন ছাড়ার ঠিক ৪ ঘন্টা আগে নয়, বরং পুরো ২৪ ঘন্টা আগেই জানতে পারবেন তাদের টিকিট কনফার্ম হয়েছে কিনা। এই পদক্ষেপ বিশেষ করে যারা ভ্রমণের আগে তাদের পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে চান তাদের জন্য উপকারী হবে।
বিকানের ডিভিশন থেকে শুরু
রেলওয়ে বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক (তথ্য ও প্রচার) দিলীপ কুমার জানিয়েছেন, এই পাইলট প্রজেক্ট বিকানের ডিভিশনে শুরু হয়েছে। এতে ট্রেন ছাড়ার ২৪ ঘন্টা আগেই চার্ট তৈরি করা হচ্ছে। আগে এই প্রক্রিয়া শুধুমাত্র ৪ ঘন্টা আগে হত। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য যাত্রীদের ওয়েটিং টিকিটের অবস্থা আগে থেকেই জানানো যাতে তারা ভ্রমণের সঠিক পরিকল্পনা করতে পারে।
ভ্রমণের পরিকল্পনা করা সহজ হবে
আগে যারা ওয়েটিং লিস্টে থাকতেন, তারা ট্রেন ছাড়ার কয়েক ঘন্টা আগে কনফার্মেশনের খবর পেতেন, যার ফলে ভ্রমণের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হত। কিন্তু এখন ২৪ ঘন্টা আগে অবস্থা স্পষ্ট হওয়ায় তারা অন্যান্য বিকল্পের বিষয়ে চিন্তা করতে পারবেন বা বিকল্প বুকিং করতে পারবেন।
রেলওয়ের কৌশল এবং যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া
রেল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প যা যাত্রীদের প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে এগিয়ে নেওয়া হবে। যদি এই পরিকল্পনা সফল হয় এবং যাত্রীরা এর থেকে উপকৃত হয়, তাহলে এটি দেশজুড়ে রেলওয়ে ডিভিশনে প্রয়োগ করা হবে।
টিকিট বাতিলের বর্তমান নীতি প্রযোজ্য থাকবে
যদিও, টিকিট কনফার্ম হওয়ার পর যদি কোন যাত্রী তা বাতিল করে, তাহলে বর্তমান বাতিলের নীতি প্রযোজ্য থাকবে। এতে যদি টিকিট ৪৮ থেকে ১২ ঘন্টা আগে বাতিল করা হয়, তাহলে মোট টাকার ২৫% ফেরত পাওয়া যাবে। ১২ থেকে ৪ ঘন্টা আগে বাতিল করলে ৫০% ফেরত পাওয়া যাবে।
অর্থাৎ, আগে থেকেই তথ্য পাওয়ার সুবিধা অবশ্যই আছে, কিন্তু বাতিলের কারণে আর্থিক ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য সিদ্ধান্ত সাবধানে নিতে হবে।
বুকিং সিস্টেমে কোন পরিবর্তন নেই
রেলওয়ে কর্মকর্তারা এটাও স্পষ্ট করেছেন যে, চার্ট আগে তৈরি হওয়ার অর্থ এই নয় যে টিকিটিং ব্যবস্থায় কোন বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। খালি থাকা আসনগুলি এখনও বর্তমান বুকিং সিস্টেম অনুযায়ীই বরাদ্দ করা হবে। এর প্রধান উদ্দেশ্য শুধুমাত্র যাত্রীদের ভ্রমণের আগে কনফার্মেশনের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করা।
