কন্নড় অভিনেত্রী রন্যা রাও হাওয়ালা মাধ্যমে সোনা কেনার কথা স্বীকার করেছেন। আদালত জামিন আবেদনের রায় ২৭ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে। ডিআরআই-এর তদন্ত অব্যাহত, চোরাচালান নেটওয়ার্কের উপর নজর।
Ranya Rao Case: সোনা পাচার মামলায় গ্রেপ্তার কন্নড় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রন্যা রাও আদালতে স্বীকার করেছেন যে তিনি হাওয়ালা মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে সোনা কিনেছিলেন। আদালত তাঁর জামিন আবেদনের শুনানি শেষ করে রায় ২৭ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে।
অনানুষ্ঠানিক আর্থিক লেনদেনের স্বীকৃতি
রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর (ডিআরআই)-এর পক্ষ থেকে সরকারি আইনজীবী মধু রাও আদালতে যুক্তি দেখিয়েছেন যে অভিযুক্ত অনানুষ্ঠানিক পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন করার কথা স্বীকার করেছেন। এই ভিত্তিতে, তদন্তকারী সংস্থার মতামত, এটি একটি গুরুতর অর্থনৈতিক অপরাধের সাথে জড়িত এবং অভিযুক্তের জামিন আবেদন নাকচ করা উচিত।
ধারা ১০৮ অনুযায়ী নোটিশ জারি
এই মামলার বিচারিক তদন্তের জন্য কর্তৃপক্ষ ধারা ১০৮ অনুযায়ী নোটিশ জারি করেছে। ডিআরআই স্পষ্ট করেছে যে এই ব্যবস্থা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের অংশ নয়, বরং আর্থিক অনিয়মের তদন্তের অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এই তদন্তের উদ্দেশ্য হলো আইনের কোনও সম্ভাব্য লঙ্ঘন এবং সোনা পাচারে হাওয়ালা নেটওয়ার্কের ভূমিকা উন্মোচন করা।
বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
জানা গেছে, রন্যা রাওকে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যেখানে তাঁর কাছ থেকে ১২.৫৬ কোটি টাকার সোনার বার উদ্ধার করা হয়। এরপর তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২.০৬ কোটি টাকার সোনার গয়না এবং ২.৬৭ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়।
২৭ মার্চ আদালতের রায়
এখন সকলের দৃষ্টি ২৭ মার্চের উপর, যখন আদালত রন্যা রাওকে জামিন দেওয়া হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত দেবে। এই মামলায় একটি বৃহৎ পাচার নেটওয়ার্কের সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে, যার উপর তদন্তকারী সংস্থাগুলি নজর রাখছে।