ইলাহাবাদ হাইকোর্ট রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব সংক্রান্ত জনহিত याচিকা খারিজ

🎧 Listen in Audio
0:00

ইলাহাবাদ হাইকোর্ট রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব সংক্রান্ত একটি জনहित याচিকা খারিজ করে দিয়েছে। কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের সময়সীমা না জানানোর ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং याচিকার্তাকে অন্য উপায় অবলম্বনের সুযোগ দিয়েছে।

লখনউ: কংগ্রেসের সাংসদ এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ইলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ থেকে বড় সুযোগ পেয়েছেন। হাইকোর্ট তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে উত্থাপিত একটি জনহিত याচিকা খারিজ করে দিয়েছে। याচিকায় দাবি করা হয়েছিল যে রাহুল গান্ধী ব্রিটিশ নাগরিক এবং ভারতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য নন।

याচিকাটি কী ছিল?

এই याচিকাটি এস. বিগ্নেশ শিশির নামে এক ব্যক্তি দায়ের করেছিলেন। याচিকার্তা আদালতে দাবি করেছিলেন যে, তাঁর কাছে এমন কিছু নথি রয়েছে যা প্রমাণ করে যে রাহুল গান্ধী ব্রিটেনের নাগরিক। এর সমর্থনে তিনি কিছু ইমেইল এবং কথিত ব্রিটিশ নথিও আদালতে উপস্থাপন করেছিলেন। याচিকায় দাবি করা হয়েছিল যে CBI-র মাধ্যমে এই বিষয়ে তদন্ত করা উচিত এবং রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ বাতিল করা উচিত।

আদালত কী বলেছে?

হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ, যার বিচারপতিরা ছিলেন জাস্টিস এ আর মাসুদী এবং জাস্টিস রাজীব সিংহ, স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে याচিকাটির উপর কেন্দ্রীয় সরকার কোন সময়সীমা নির্দিষ্ট করতে পারেনি যে তারা কবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আদালত বলেছে যে এই অবস্থায় याচিকাটি আর লম্বিত রাখার কোনো যুক্তি নেই।

আদালত याচিকাটি খারিজ করে এই সুযোগ দিয়েছে যে याচিকার্তা যদি চান, তাহলে এই বিষয়ে অন্যান্য আইনগত বিকল্প অবলম্বন করতে পারেন। অর্থাৎ, অন্যান্য আইনি পথ অবলম্বন করে আগাতে পারেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের উপরও মন্তব্য

আদালত এটাও বলেছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত কোন স্পষ্ট উত্তর দেয়নি যা এই সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে যে রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে উঠে আসা সন্দেহের সমাধান হয়েছে কিনা। কেন্দ্রীয় সরকারকে আগে ১০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল, যে সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।

রাহুল গান্ধীকে স্বস্তি

এই রায়ের ফলে রাহুল গান্ধী এক ধরণের স্বস্তি পেয়েছেন, কারণ আদালত এই মামলাটি আর আগিয়ে না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, তাত্ত্বিকভাবে মামলাটি সম্পূর্ণ শেষ হয়নি কারণ याচিকার্তা অন্যান্য আইনি পথ অবলম্বন করতে পারেন।

Leave a comment