পুলওয়ামা হামলার ষষ্ঠ বর্ষপূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও অমিত শাহ শহীদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন। শাহ বলেছেন- মোদী সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতিতে অটল রয়েছে।
PM Modi on Pulwama attack: আজকের দিনটি, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, পুলওয়ামায় দেশকে কাঁপিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসবাদী হামলার দিন। এই হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। এই দুঃখজনক ঘটনার ষষ্ঠ বর্ষপূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ শহীদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুলওয়ামা হামলায় শহীদ হওয়া বীর জওয়ানদের স্মরণ করে বলেছেন, "আমি পুলওয়ামা হামলায় শহীদ হওয়া জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। আগামী প্রজন্ম এই জওয়ানদের ত্যাগ ও সাহস কখনো ভুলবে না।"
অমিত শাহ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পুনরায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছেন
গৃহমন্ত্রী অমিত শাহও শহীদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করে লিখেছেন, "আমি সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে ২০১৯ সালের আজকের দিনে পুলওয়ামায় সংঘটিত কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসবাদী হামলায় শহীদ হওয়া জওয়ানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। সন্ত্রাসবাদ সমগ্র মানবতার সবচেয়ে বড় শত্রু এবং সমগ্র বিশ্ব এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।"
অমিত শাহ আরও বলেছেন যে মোদী সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে 'শূন্য সহনশীলতা' নীতিতে কাজ করছে।
তিনি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও এয়ার স্ট্রাইকের উল্লেখ করে বলেছেন যে ভারত তার বীর জওয়ানদের ত্যাগকে ব্যর্থ হতে দেবে না এবং সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার জন্য সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেবে।
২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলা সংঘটিত হয়েছিল
উল্লেখ্য, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জৈশ-ই-মোহাম্মদ পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল। এই হামলায় ৪০ জন জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। এর পর ভারত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে পাকিস্তানের বালাকোটে অবস্থিত সন্ত্রাসবাদী শিবিরগুলিতে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছিল।
পুলওয়ামা হামলার পর ভারতের কঠোর পদক্ষেপ
পুলওয়ামা হামলার পর ভারত আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিল। জাতিসংঘসহ অনেক দেশ এই হামলার নিন্দা করেছিল। এছাড়াও, ভারত পাকিস্তানকে দেওয়া ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’ এর মর্যাদা প্রত্যাহার করে এবং সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছিল।