মহাশিবরাত্রির পবিত্র দিবসে প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে ভক্তদের অভূতপূর্ব ভিড় জমে উঠেছে। লাখ লাখ ভক্ত গঙ্গায় পবিত্র স্নান করে ভগবান শিবের জলাভিষেক করতে এসেছেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ স্বয়ং মহাকুম্ভের ব্যবস্থাগুলির তদারকি করেছেন এবং গোরক্ষনাথ মন্দিরে অবস্থিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে প্রতি মুহূর্তের পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন।
প্রয়াগরাজ: মহাশিবরাত্রির পবিত্র দিবসে, যা মহাকুম্ভ ২০২৫-এর শেষ স্নান পর্বও বটে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গোরক্ষনাথ মন্দিরে অবস্থিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ব্যবস্থাগুলির তদারকি করছেন। তিনি ভোরে ৪ টা থেকেই কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত হয়ে প্রয়াগরাজে চলমান স্নানের লাইভ ফিডের মাধ্যমে মনিটরিং শুরু করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন যে ভক্তদের কোনও ধরণের অসুবিধা না হয় এবং সকল নিরাপত্তা ও যানবাহন ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশ
মহাশিবরাত্রির পূর্ব সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গোরখপুরে পৌঁছে কর্তৃপক্ষের সাথে পর্যালোচনা বৈঠক করে উৎসবের প্রস্তুতির পর্যালোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সুষ্ঠু যানবাহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "ভক্তদের আস্থা সর্বোচ্চ, কাউকে অসুবিধা হওয়া উচিত নয়।"
ভক্তদের সুবিধার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
* নিরাপত্তা ব্যবস্থা: পুলিশ বাহিনী এবং ট্রাফিক কর্মীদের মোতায়েন বৃদ্ধি করা হয়েছে।
* পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান: নগর নিগম এবং পঞ্চায়েত রাজ্য বিভাগ শিবালয় এবং ঘাটগুলির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করেছে।
* যানবাহন ব্যবস্থাপনা: প্রধান রাস্তাগুলিতে ব্যারিকেডিং এবং বিকল্প যানবাহন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
* নারী নিরাপত্তা: মহিলা পুলিশ বাহিনীর বিশেষ মোতায়েন করা হয়েছে, পাশাপাশি হেল্প ডেস্কও তৈরি করা হয়েছে।
পুলিশ প্রশাসনের আবেদন
প্রয়াগরাজের ডেপুটি এসপি সিয়া রাম ভক্তদের সংযম এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন করেছেন। তিনি বলেছেন, "কুম্ভ এলাকায় নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভক্তরা শান্তিপূর্ণভাবে স্নান করুন এবং প্রশাসনের নির্দেশাবলী মেনে চলুন।" গঙ্গার পবিত্র জলে ডুব দিয়ে ভক্তরা মহাশিবরাত্রিতে আত্মশুদ্ধির অনুভূতি লাভ করেছেন।
চারিদিকে "হর হর মহাদেব" ধ্বনি গूঞ্জন করে, যা সমগ্র পরিবেশকে ভক্তিময় করে তুলেছে। ভক্তরা শিব মন্দিরে বিশেষ পূজা এবং রুদ্রাভিষেক করেছেন, যার ফলে শ্রদ্ধা ও ভক্তির অনন্য ছটা ছড়িয়ে পড়েছে। মহাশিবরাত্রির এই পবিত্র দিবসে আস্থা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার সুন্দর সমন্বয় দেখা গেছে, যার ফলে ভক্তদের কোনও অসুবিধা হয়নি।
