পালঘাম আক্রমণের পর ভারতের কঠোর পদক্ষেপে তুরস্ক ও আজারবাইজানের প্রকৃত মুখোমুখি হয়েছে, যারা খোলাখুলিভাবে পাকিস্তানের সমর্থন করেছে। ভারতের উপর নিক্ষেপ করা ড্রোনগুলিতে তুরস্ক-নির্মিত অস্ত্রও ছিল।
India Pakistan Conflict: পালঘাম সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়েছে। 'সিন্দুর' অভিযানের অধীনে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। এই পুরো ঘটনার সময় তুরস্ক ও আজারবাইজান খোলাখুলিভাবে পাকিস্তানের সমর্থন করেছে, যা এই দুটি দেশের প্রকৃত মুখোমুখি বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে।
পাকিস্তান তুরস্কের ড্রোন ব্যবহার করে ভারতের উপর আক্রমণ করেছে
ভারতের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপে পাকিস্তান বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এরপর তারা ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ভারতের উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে। তদন্তে জানা গেছে, পাকিস্তান যে ড্রোন ভারতের উপর নিক্ষেপ করেছিল, তার অনেকগুলো তুরস্কে তৈরি (Made in Turkey) ছিল। ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সময়মতো এই ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করে এবং তাদের ধ্বংসাবশেষের মাধ্যমে নিশ্চিত প্রমাণ সংগ্রহ করে।
তুরস্ক ও আজারবাইজানের বিরুদ্ধে ভারতে প্রতিবাদ তীব্র
তুরস্ক ও আজারবাইজানের পাকিস্তানের প্রতি সমর্থনের প্রতি ভারতে জনগণের রোষ প্রকাশ পেয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুটি দেশের বয়কট (Boycott) করার দাবি জোরালো হচ্ছে। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেও সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে ভারতীয়দের তুরস্ক ও আজারবাইজান যাওয়া বন্ধ করা উচিত। শত্রুর বন্ধুও আমাদের শত্রু, এই বার্তা এখন মানুষের মনে গভীরভাবে প্রবেশ করছে।
ভারত-তুরস্ক ও আজারবাইজানের বাণিজ্যে কতটা প্রভাব পড়বে?
যদি ভারত এই দুটি দেশের বয়কট করে, তাহলে অর্থনৈতিকভাবে ভারতের উপর বেশি প্রভাব পড়বে না কারণ এই দুটি দেশের সাথে ভারতের বাণিজ্য খুবই সীমিত।
- ২০২৩-২৪ সালে ভারত তুরস্কে ৬.৬৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যা ২০২৪-২৫ সালে কমে ৫.২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এটি ভারতের মোট রপ্তানির মাত্র ১.৫%।
- আজারবাইজানে ভারতের রপ্তানি মাত্র ৮৬ মিলিয়ন ডলার, যা মোটের মাত্র ০.০২%।
- তুরস্ক থেকে ভারতের আমদানিও মাত্র ০.৫%, আর আজারবাইজান থেকে আমদানি প্রায় নগণ্য।
ভারত কোন কোন পণ্যের ব্যবসা করে?
ভারত তুরস্ক থেকে খনিজ তেল, মার্বেল, ইস্পাত, রাসায়নিক, আপেল এবং সোনা আমদানি করে, অন্যদিকে তুরস্কে অটো পার্টস, ফার্মা পণ্য, কাপড়, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি পণ্য রপ্তানি করে।
আজারবাইজানের সাথে ভারতের প্রধান বাণিজ্য কাঁচা তেল, তামাক, চা, শস্য এবং চামড়া ইত্যাদি পণ্যের উপর নির্ভরশীল।
পর্যটন ও ভারতীয় নাগরিকদের উপর প্রভাব
- তুরস্ক ও আজারবাইজান ভারতীয় পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য হয়েছে।
- ২০২৩ সালে প্রায় ৩ লক্ষ ভারতীয় পর্যটক তুরস্কে গিয়েছিলেন।
- ২ লক্ষেরও বেশি ভারতীয় আজারবাইজানেও ঘুরতে গিয়েছিলেন।
- তুরস্কে প্রায় ৩০০০ ভারতীয়, আর আজারবাইজানে ১৫০০ এরও বেশি ভারতীয় নাগরিক বসবাস করেন।
এখন এই দুটি দেশের বিরুদ্ধে জনগণের রোষ প্রকাশ পাচ্ছে এবং মানুষ তাদের ভ্রমণ বাতিল করছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই দেশগুলির বিরোধিতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।