পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ভারতের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ

🎧 Listen in Audio
0:00

পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ভারতের ১৫টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী হামলা ব্যর্থ করে দিয়েছে এবং প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করেছে।

হামলা: ২০২৫ সালের ৭-৮ মে রাতে পাকিস্তান ভারতের সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে ব্যাপক সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করে। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে শ্রীনগর, চণ্ডীগড়, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কপূরথলা, জালন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, নাল, ফলৌদী, উত্তরলাই ও ভুজ সহ ১৫টি প্রধান শহরের ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা করা হয়।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইউএএস গ্রিড ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সকল প্রচেষ্টাকে সফলভাবে ব্যর্থ করে দিয়েছে। হামলার ধ্বংসাবশেষ অনেক স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, যা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে।

ভারতের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ

ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী হামলার জোরালো প্রতিশোধ নিয়েছে একই ধরণের তীব্রতার সাথে। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি এয়ার ডিফেন্স রাডার ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করেছে। সূত্রের খবরে, লাহোরে অবস্থিত একটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

ভারত স্পষ্ট করেছে যে এই পদক্ষেপ আত্মরক্ষা ও সামরিক প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। ভারতের উদ্দেশ্য যুদ্ধকে উস্কে দেওয়া নয়, বরং নিজের নাগরিক ও সামরিক স্থাপনার সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

এলওসিতে পাকিস্তানের গোলাগুলি

এছাড়াও, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এলওসি (LoC) তেও ব্যাপক গোলাগুলি চালানো হয়েছে। কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্ছ, রাজৌরী, মেন্ধর প্রভৃতি এলাকায় মর্টার ও ভারী অস্ত্র থেকে গোলাগুলি চালানো হয়, যাতে তিনজন নারী ও পাঁচজন শিশুসহ ১৬ জন নিরীহ ভারতীয় নাগরিক প্রাণ হারায়।

ভারতের অবস্থান

ভারত সরকার ও সেনাবাহিনী পুনর্ব্যক্ত করেছে যে ভারত যুদ্ধ চায় না, কিন্তু যদি তার সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমণ করা হয়, তাহলে সে চুপ করে থাকবে না। ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্পষ্ট বার্তা হলো — "আমরা উত্তেজনা বাড়াতে চাই না, কিন্তু জবাব দেওয়া আমরা জানি।"

ভারত এটাও জানিয়েছে যে তার প্রতিক্রিয়া শুধুমাত্র সামরিক প্রতিক্রিয়া পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল, এবং সে পাকিস্তানের কোনও সামরিক সদর দপ্তরকে লক্ষ্য করেনি।

Leave a comment