পাহালগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতীয় সেনা অপারেশন সিন্দুর চালিয়েছে। এবার সরকার সকল রাজনৈতিক দলকে তথ্য জানানোর জন্য সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে।
অপারেশন সিন্দুর: জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে পর্যটকদের উপর সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত তীব্র প্রতিক্রিয়া হিসেবে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত নয়টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করেছে। সেনাবাহিনীর এই সাহসী অভিযানের পর কেন্দ্রীয় সরকার ৮ মে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে।
সকল দলকে দেওয়া হবে অপারেশনের তথ্য
সর্বদলীয় বৈঠকটি সংসদ ভবনের জি-০৭৪ কক্ষে সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং সকল রাজনৈতিক দলকে অপারেশন সিন্দুর সম্পর্কিত তথ্য দেওয়া হবে।
সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে, বৈঠকের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তথ্য ভাগাভাগি নয়, বরং ভবিষ্যতের কৌশল নিয়ে আলোচনা করাও।
কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতির দাবি জানিয়েছে
কংগ্রেস এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতির দাবি জানিয়েছে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন যে, এবার প্রধানমন্ত্রীকে নিজেই বিরোধীদের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মল্লিকার্জুন খড়গে এবং রাহুল গান্ধী বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।
পবন খেরা বলেছেন যে, আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী নিজেই উপস্থিত থাকুন, যাতে বার্তা যায় যে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে সকল রাজনৈতিক দল একসাথে আছে। তিনি আরও বলেন যে, ভারত সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করছে, অন্যদিকে পাকিস্তান নিরীহ নাগরিক এবং ধর্মীয় স্থাপনাকে লক্ষ্য করছে—এটাই দুই দেশের চিন্তাভাবনার পার্থক্য।
কংগ্রেস সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে
বৈঠকের একদিন আগে কংগ্রেস কর্ম কমিটির (সিডব্লিউসি) বৈঠক হয়েছিল, যেখানে দলের সভাপতি খড়গে এবং রাহুল গান্ধী সেনাবাহিনীর বীরত্বকে সালাম জানিয়েছেন। তারা স্পষ্ট করে বলেছেন যে, এ ব্যাপারে কোনো মতবিরোধ নেই, কংগ্রেস সরকার এবং দেশের নিরাপত্তার সাথে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।
