নয়ডা সেক্টর-৩-এর একটি বাণিজ্যিক ভবনের শীর্ষ তলায় আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার ব্রিগেড ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কোনও হতাহতের খবর নেই।
নয়ডা: দিল্লির কাছে উত্তরপ্রদেশের নয়ডা সেক্টর-৩-এ একটি বাণিজ্যিক ভবনের শীর্ষ তলায় হঠাৎ ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে আশেপাশের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ভবনটি অবিলম্বে খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সিটিএ অ্যাপারেলস কোম্পানির ভবনে আগুন
ঘটনাটি সোমবার বিকেল প্রায় ৩টার সময় ঘটে যখন সিটিএ অ্যাপারেলস নামক কোম্পানির শীর্ষ তলায় আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, আগুনটি সোলার প্যানেল থেকে ছড়িয়ে পড়ে এবং ধীরে ধীরে পুরো তলাটিকে তার আওতায় নিয়ে আসে। কোম্পানির কর্মী ও অন্যান্য ভবনবাসী দ্রুত বেরিয়ে নিজেদের প্রাণ রক্ষা করে।
ফায়ার ফাইটিং সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
ভালো করেই হয়েছে যে ভবনে আগে থেকেই ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম ছিল, যার সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু হয়। খবর পেয়ে দমকল বিভাগের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনটি ফায়ার টেন্ডারের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিএফও ঘটনার তথ্য দেন
প্রধান অগ্নি নির্বাপক কর্মকর্তা (সিএফও) প্রদীপ কুমার চৌবে মিডিয়াকে জানান, নয়ডা সেক্টর-৩-এর ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ইউনিটকে হাইড্রোলিক প্লাটফর্মসহ পাঠানো হয়। আগুনটি সিটিএ অ্যাপারেলস কোম্পানির শীর্ষ তলায় তৈরি ওয়াশিং এরিয়ায় লেগেছিল। দমকল বাহিনী কোম্পানিতে থাকা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রপাতি ও নিজেদের সম্পদের সাহায্যে সময়মতো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রাথমিক খবরে আশঙ্কা করা হচ্ছিল কিছু লোক ভিতরে আটকে থাকতে পারে, কিন্তু স্বস্তির বিষয় হলো সবাইকে নিরাপদে বের করে আনা হয়। কোনও হতাহতের খবর নেই, যা জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি এনেছে।
এখনও স্পষ্ট হয়নি আগুনের কারণ
এখনও আগুন লাগার কারণগুলির তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তে সোলার প্যানেল থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, তবে বিস্তারিত প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই আসল কারণ সামনে আসবে।
দমকল বিভাগ ও কোম্পানির দ্রুত ব্যবস্থার ফলে সময়মতো আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়, যার ফলে একটি বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। আরও কিছুক্ষণ দেরি হলে আগুন আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারত।
স্থানীয়দের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক
আগুনের তীব্র জ্বলন্ত দৃশ্য দেখে আশেপাশের ভবনগুলিতেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই সাবধানতার স্বার্থে তাদের অফিস ও দোকানপাট বন্ধ করে দেন। রাস্তায় জনসমাগম হয় এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশকেও ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়।
