নয়ডা মেট্রো হাসপাতালে আগুন, কোনও জনহানি নেই

🎧 Listen in Audio
0:00

নয়ডা সেক্টর-১১-এর মেট্রো হাসপাতালের ফিজিওথেরাপি সেন্টারে সকালে আগুন লেগেছে। শর্ট সার্কিটকে এর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। কোনও জনহানি হয়নি। ফায়ার ব্রিগেড সময়মতো পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সকল রোগী নিরাপদে আছেন।

নয়ডা: বুধবার সকাল প্রায় ৮টায় নয়ডা সেক্টর-১১-এ অবস্থিত মেট্রো হাসপাতালের ফিজিওথেরাপি সেন্টারে আগুন লাগার খবরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুন হাসপাতালের বেসমেন্টে অবস্থিত ইউনিটে লেগেছিল। ঘটনাস্থলে দ্রুত তিনটি দমকল গাড়ি পাঠানো হয় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

স্মোক এক্সট্রাকশন সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

আগুন লাগার পর হাসপাতালে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল, কিন্তু ফায়ার ব্রিগেড এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মিলে দ্রুত স্মোক এক্সট্রাকশন সিস্টেম ব্যবহার করে, যার ফলে ধোঁয়া হাসপাতালের প্রধান ভবনে পৌঁছানোর আগেই বাইরে বেরিয়ে যায়। এই প্রযুক্তিগত পদক্ষেপের ফলে কোনও রোগীকে সরানোর প্রয়োজন হয়নি।

কোনও জনহানি হয়নি, রোগীরা সম্পূর্ণ নিরাপদ

ঘটনার সময় হাসপাতালে উপস্থিত সকল রোগী ও কর্মী নিরাপদে ছিলেন। গৌতমবুদ্ধনগরের প্রধান অগ্নি নির্বাপণ কর্মকর্তা (CFO) প্রদীপ কুমার নিশ্চিত করেছেন যে আগুনে কোনও জনহানি হয়নি। এই তথ্য স্বস্তির, কারণ প্রথমে আগুনের খবরে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছিল।

আগুনের কারণ শর্ট সার্কিট বলে মনে করা হচ্ছে

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে যে আগুন লাগার কারণ শর্ট সার্কিট হতে পারে। যেহেতু আগুন হাসপাতালের প্রধান ভবন থেকে আলাদা ফিজিওথেরাপি ইউনিটে লেগেছিল, তাই এর প্রভাব সীমিত ছিল। ফায়ার ব্রিগেডের দ্রুততার এবং হাসপাতাল কর্মীদের সতর্কতার ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল।

ফায়ার ইউনিট এবং পুলিশের দ্রুত প্রতিক্রিয়া

খবর পেয়ে থানা সেক্টর-২৪-এর পুলিশ দল এবং ফায়ার সার্ভিস ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। প্রায় তিনটি ইউনিট মিলে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নিশ্চিত করে যে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়েনি। এই সময় হাসপাতাল কর্মীরাও ফায়ার টিমকে সাহায্য করে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সতর্কতায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো হল

মেট্রো হাসপাতালের কর্মীরা দ্রুত ফায়ার অ্যালার্ম বাজিয়ে রোগীদের শান্ত রাখে এবং পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আগুন নেভানোর প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করে। এই যৌথ প্রচেষ্টার ফলে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

Leave a comment