মুম্বাইতে আয়োজিত সহযোগী ব্যাংক কর্মসূচীতে একই মঞ্চে দেখা গেল শরদ পাওয়ার ও অজিত পাওয়ারকে। এই সময় মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
মুম্বাই নিউজ: ১২ই মে মুম্বাইতে আয়োজিত মহারাষ্ট্র রাজ্য সহযোগী ব্যাংকের কর্মসূচীতে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে যখন শরদ পাওয়ার ও অজিত পাওয়ার একই মঞ্চে উপস্থিত হন। দুই নেতা পাশাপাশি বসেছিলেন, এবং এ সময় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি এবং উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেও কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ কারণ দুই পাওয়ারের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের উত্থান-পতন দেখা গেছে এবং এখন আবার একই মঞ্চে উপস্থিত হওয়া অনেক প্রশ্ন তুলে ধরেছে।
মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বড় ঘুরান্ত
এনসিপির দুই প্রধান নেতা, শরদ পাওয়ার ও অজিত পাওয়ার, গত কয়েক সময় ধরে রাজনীতিতে আলাদা পথে চলেছিলেন। অজিত পাওয়ার ২০১৩ সালের জুলাই মাসে তাঁর দল এনসিপিতে বিদ্রোহ করে বিজেপি-শিবসেনা জোটে যোগদান করেন, যখন শরদ পাওয়ার ইন্ডিয়া জোটের অংশ ছিলেন। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে বহু আলোচনা চলছিল যে দুই পাওয়ার কি আবার একসাথে আসবেন এবং এখন এই কর্মসূচী তাদের একত্রিত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে বিবেচনার কারণ হয়ে উঠেছে।
শরদ পাওয়ারের বক্তব্য: "দুই গোষ্ঠী যদি একসাথে আসে তাহলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই"
শরদ পাওয়ারকে যখন এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় যে তিনি কি আবার অজিত পাওয়ারের সাথে কাজ করবেন, তখন তিনি বলেছিলেন যে দুই এনসিপি গোষ্ঠী যদি একসাথে আসে তাহলে তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। তাঁর বক্তব্য ছিল এই সিদ্ধান্ত পরবর্তী প্রজন্মের নেতাদের, যেমন সুপ্রিয়া সুলে এবং অজিত পাওয়ারের, মিলে নেওয়া উচিত।
শরদ পাওয়ার আরও বলেছেন যে তাঁর গোষ্ঠীর একটা অংশ অজিত পাওয়ারের সাথে মিলে কাজ করতে চায় এবং এই সিদ্ধান্ত আগামী সময়ে নেওয়া হবে।
এনসিপির ভবিষ্যৎ কী হবে?
মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এই ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘুরান্ত হতে পারে। অজিত পাওয়ার ও শরদ পাওয়ারের মধ্যে সম্পর্কের উত্থান-পতনের পর একই মঞ্চে তাদের উপস্থিতি রাজনৈতিক মহলে জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি করেছে। এটা কি এনসিপির পুনর্মিলনের ইঙ্গিত, নাকি এটি কেবলমাত্র একটি সুযোগ ছিল, তা দেখার বিষয়। ২০১৩ সালে যখন অজিত পাওয়ার বিদ্রোহ করেছিলেন, তখন তাঁর পদক্ষেপ মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক আন্দোলনের সৃষ্টি করেছিল। এখন যখন দুই পাওয়ার একসাথে মঞ্চে দেখা গেছে, তখন এটি রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।