মুহুরী নদীতে বাঁধ নির্মাণ: ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি লঙ্ঘন ও বন্যার আশঙ্কা

🎧 Listen in Audio
0:00

মুহুরী নদীতে বাংলাদেশের বিতর্কিত বাঁধ নির্মাণ ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি লঙ্ঘন করে, ত্রিপুরার শহরগুলিতে বন্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে। ভারত তদন্ত শুরু করেছে।

বাংলাদেশ: দক্ষিণ ত্রিপুরার মুহুরী নদীর কাছে বাংলাদেশ আরেকটি বিতর্কিত বাঁধ নির্মাণ করেছে, যা ভারতে বন্যার ঝুঁকি বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি করেছে। অভিযোগ উঠেছে যে, বাঁধটি ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, যা শূন্য রেখায় নির্মাণ নিষিদ্ধ করে।

বাঁধ নির্মাণের কারণে বন্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি

এই বাঁধ নির্মাণের ফলে স্থানীয় এলাকায়, বিশেষ করে বেলোনিয়া শহরের আশেপাশে বন্যা হতে পারে। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২০ ফুট উঁচু এই বাঁধটি মুহুরী নদীর উত্তর তীরে নির্মিত হচ্ছে। স্থানীয় বিধায়ক দীপঙ্কর সেনের মতে, এই বাঁধটি ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির লঙ্ঘন করেছে কারণ এটি শূন্য রেখা থেকে ৫০ গজের কম দূরত্বে নির্মিত হচ্ছে।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি

এই বিষয়টি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার বৃদ্ধি তুলে ধরে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় গৃহ মন্ত্রণালয়ের কাছে জরুরি হস্তক্ষেপের অনুরোধ করেছে। জানুয়ারী মাসে বাংলাদেশ কর্তৃক কৈলাশাহারে বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাहा উত্থাপন করেছিলেন, যা মানু নদীতে বন্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি করেছে।

স্থানীয় পুলিশ ও কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ

স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে, তবে কোনো তাৎক্ষণিক উদ্বেগের বিষয় জানানো হয়নি। বাংলাদেশ ১০টি ড্রেজার ব্যবহার করে বাঁধ নির্মাণ কাজ অব্যাহতভাবে ত্বরান্বিত করছে।

সম্ভাব্য বন্যার ঝুঁকি সম্পর্কে ব্যবস্থা

এই বাঁধ নির্মাণের কারণে বন্যার সম্ভাবনা বৃদ্ধির ব্যাপারে এখন উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। ৫০০-এর বেশি পরিবার মৌসুমি বন্যার আশঙ্কায় রয়েছে। এই বাঁধ নদীর প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করবে, যার ফলে বেলোনিয়া শহরে বন্যা হতে পারে।

ভারতকে বড় বাঁধ নির্মাণ করতে বাধ্য করা

তবুও, বাংলাদেশ নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে, যার ফলে মানু নদীতে মৌসুমি বন্যার প্রভাব কমাতে ভারতকে বড় বাঁধ নির্মাণ করতে হচ্ছে। এটি ভারতের নিরাপত্তা রক্ষা এবং জলসম্পদের ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া একটি ব্যবস্থা।

Leave a comment