এই উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্ব দানকারী NDRF কমান্ড্যান্ট ভিভিএন প্রশন্না কুমার মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানান, যদি ঘটনাস্থলে পানির মাত্রা কিছুটা বেশি থাকতো, তাহলে সম্ভবত মৃত্যুর সংখ্যা কম হতে পারতো।
মোরবি সেতু দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা কম হতে পারতো যদি সেতুটির নিচে এতো অগভীর পানি এবং পাথর না থাকতো। এমনটাই জানিয়েছেন NDRF প্রধান। এই উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্ব দানকারী NDRF কমান্ড্যান্ট ভিভিএন প্রশন্না কুমার মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানান, যদি ঘটনাস্থলে পানির মাত্রা কিছুটা বেশি থাকতো, তাহলে সম্ভবত মৃত্যুর সংখ্যা কম হতে পারতো। তিনি জানান, নদীর মাঝামাঝি যেখানে পানি প্রায় স্থির, কোনো প্রবাহ নেই, সেখানে গভীরতা প্রায় ২০ ফুট।
কুমার জানান, অধিকাংশ মৃতদেহ ভেঙে পড়া সেতুর নিচে পাওয়া গেছে কারণ নদীতে কোনো প্রবাহ নেই এবং পানি তাদের ভেসে অন্যত্র নিয়ে যেতে পারেনি। তিনি জানান, সিভিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে, এখন আর মাত্র এক বা দুটি মৃতদেহ খোঁজার বাকি আছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মোরবি শহরের সেই হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন যেখানে আহতদের চিকিৎসা চলছে। তার এই সফরের আগে রাতারাতি হাসপাতালের ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছে। পিএম মোদীর হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে খুব কম সময়ের মধ্যে হাসপাতালের চেহারা বদলে দেওয়া হয়েছে।
পিএম-এর সফরের আগে মোরবি সরকারি হাসপাতালে কিছু রোগীকে নির্বাচন করা হয়েছিল, যাদের নতুন করে রং করা ওয়ার্ডে নতুন বিছানায় স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। নতুন ওয়ার্ডে পানীয় জল এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল যাতে প্রধানমন্ত্রীর সামনে হাসপাতালের অব্যবস্থাপনাকে ঢেকে রাখা যায়। উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় মোরবির মাছু নদীতে সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ১২৫ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মোট নয়জনকে গ্রেফতার করেছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মোরবির সেতু দুর্ঘটনার স্থান পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের আগে তিনি এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেছেন। পিএম হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সাথেও দেখা করেছেন। জানিয়ে রাখা যায়, পুলিশের মতে, সেতুটি ভেঙে পড়ার সময় তাতে ৫০০ জনের বেশি মানুষ ছিল। যেখানে সেই সেতুর ধারণ ক্ষমতা ছিল মাত্র ১২৫ জনের।