মোদীর জম্মু-কাশ্মীর সফর: চিনাব সেতু উদ্বোধন ও পাকিস্তানের তীব্র প্রতিক্রিয়া

🎧 Listen in Audio
0:00

প্রধানমন্ত্রী মোদী জম্মু-কাশ্মীরে চিনাব সেতু এবং বন্দে ভারত ট্রেনের উপহার দিলেন। পাকিস্তান পাহালগাম আক্রমণের বিষয়ে মোদীর বক্তব্যে আপত্তি জানিয়ে কাশ্মীর বিষয়টি আবারো আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলতে চেষ্টা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্য: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২৫ সালের ৬ই জুন জম্মু-কাশ্মীরের মাটিতে একটি ঐতিহাসিক সফর করেন, যা বহু দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই সময় তিনি বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতু 'চিনাব সেতু' উদ্বোধন করে দেশকে উৎসর্গ করেন। এই সেতু কেবলমাত্র একটি অবকাঠামোগত প্রকল্প নয়, বরং জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়ন ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদী চিনাব সেতুতে ত্রিবর্ণ পতাকা হাতে পদযাত্রা করে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে ভারত আর কোনও সন্ত্রাসবাদী হুমকি বা বহিঃশক্তির চাপে ভয় পাবে না। তাঁর এই সফরকে কাশ্মীরে শান্তি, স্থায়িত্ব ও উন্নয়নের জন্য একটি মাইলফলক বলে মনে করা হচ্ছে।

পাহালগাম সন্ত্রাসবাদী আক্রমণে প্রধানমন্ত্রী মোদীর তীব্র আক্রমণ

প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফরটি সেই আক্রমণের পরে হয়েছে যেখানে পাহালগামে সন্ত্রাসবাদীরা সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করেছে। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী কঠোর ভাষায় পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেছেন, "যারা কাশ্মীরের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদেরকে প্রথমে নরেন্দ্র মোদীর সাথে লড়াই করতে হবে।"

তিনি সন্ত্রাসবাদকে মানবতার ও কাশ্মীরিয়তার বিরুদ্ধে বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে পাকিস্তান কেবলমাত্র সীমান্ত পার থেকে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে না, বরং গরিবদের কর্মসংস্থান ও উন্নয়নেরও শত্রু।

পাকিস্তানের তীব্র প্রতিক্রিয়া

প্রধানমন্ত্রী মোদীর কঠোর বক্তব্যে পাকিস্তান বিরক্ত হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি সরকারি বিবৃতি জারি করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে 'মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর' বলে অভিহিত করেছে। পাকিস্তান এও অভিযোগ করেছে যে ভারত জম্মু-কাশ্মীরে আসল সমস্যা থেকে দৃষ্টি অন্যত্র সরাতে চেষ্টা করছে।

জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের পুরনো সুর

পাকিস্তান আবারও জম্মু-কাশ্মীরে একটি আন্তর্জাতিক বিবাদিত অঞ্চল বলে উল্লেখ করে জাতিসংঘে তুলতে হুমকি দিয়েছে। পাকিস্তান এও বলেছে যে ভারতের সকল উন্নয়নের দাবি মিথ্যা কারণ সেখানে ব্যাপক সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং সাধারণ নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

পাকিস্তান জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংগঠন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন করেছে যাতে তারা ভারতকে তার অভিযুক্ত অত্যাচারের জন্য দায়ী করে এবং কাশ্মীরীদের আত্মনির্ণয়ের অধিকার দান করে।

ভারতের স্পষ্ট অবস্থান: উন্নয়ন ও সন্ত্রাসবিরোধী দ্ব্যর্থহীন নীতি

প্রধানমন্ত্রী মোদীর নীতি স্পষ্ট—একদিকে উন্নয়ন ও শান্তির পথ, অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা। তাঁর এই বার্তা কেবল পাকিস্তানের জন্য নয়, বরং বিশ্ব সম্প্রদায়কেও এটা বুঝতে সাহায্য করার জন্য যে ভারত এখন কাশ্মীরে উন্নয়নের মূল স্রোতে যুক্ত হয়েছে এবং যেকোনো ধরণের বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড সহ্য করবে না।

Leave a comment