মহাকুম্ভে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: ২৫০-র বেশি তাঁবু পুড়ে ছাই

🎧 Listen in Audio
0:00

মহাকুম্ভ মেলায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনে ২৫০-র বেশি তাঁবু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দুইজন দগ্ধ, প্রধানমন্ত্রী মোদী মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে খবর নিয়েছেন। কোটি কোটি টাকার ক্ষতি।

মহাকুম্ভ অগ্নিকাণ্ড: রবিবার সন্ধ্যায় মহাকুম্ভ মেলা এলাকার একটি শিবিরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে আগুন লেগে যায়। প্রচণ্ড বাতাসের কারণে আগুন আশপাশের অন্যান্য শিবিরেও ছড়িয়ে পড়ে। এতে হুড়োহুড়ি শুরু হয় এবং ২৫০-র বেশি তাঁবু পুড়ে যায়। আগুন নেভানোর চেষ্টা করার সময় দুইজনের দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যদিও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনার নোটিশ নিয়েছেন

মৌনী আমাবস্যা স্নান পর্বের প্রস্তুতির পর্যালোচনা করতে মেলা এলাকায় উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ জেনেছেন। আগুনে কোটি কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুরো মেলা এলাকায় পুলিশ, অগ্নি নির্বাপক বাহিনী, SDRF, NDRF-কে সতর্ক করা হয়েছে।

গ্যাস লিকের কারণে আগুন

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গ্যাস লিকের কারণে আগুন লেগেছে। পবন ত্রিপাঠী নামে এক ব্যক্তির তাঁবুতে গ্যাস লিক হওয়ার পর সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয় এবং আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আগুন নেভানোর জন্য পুলিশ ও অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। প্রায় আধা ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়, কিন্তু ততক্ষণে অনেক তাঁবু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

অগ্নি নির্বাপক দল ও উদ্ধার কার্যক্রম

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর DIG মহাকুম্ভ वैभव कृष्ण, পুলিশ কমিশনার তরুণ গাবা, ADG ভানু ভাস্কর এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। কর্মকর্তারা ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করার কথা বলেছেন। আগুনে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রভাবিত তীর্থযাত্রীদের সর্বাত্মক সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।

সম্পর্কিত শিবির ও ত্রাণ কার্যক্রমের অবস্থা

আগুনে গীতা প্রেস গোরখপুর এবং অখিল ভারতীয় সংঘ কর্পাত্র ধাম বারাণসীর যৌথ শিবিরসহ আরও অনেক শিবির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন লাগার পর শাস্ত্রী সেতুর নিচে অবস্থিত এলাকায় হুড়োহুড়ি শুরু হয়, কিন্তু পুলিশ ও অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর তৎপরতার ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

Leave a comment