উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরের ১ নম্বর গেটে হঠাৎ আগুন লাগল। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেড ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করে। শর্ট সার্কিটকে আগুনের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উজ্জয়িনী: দেশের প্রধান তীর্থস্থানগুলির মধ্যে অন্যতম বাবা মহাকালেশ্বর মন্দির চত্বরে সোমবার দুপুরে হঠাৎ আগুন লাগার খবরে হইচই পড়ে যায়। মন্দিরের ১ নম্বর গেটের কাছে অবস্থিত দূষণ বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আগুন লাগে, যার শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার সময় বেশিরভাগ তীর্থযাত্রী মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন, ফলে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আগুন
ঘটনাটি দুপুর প্রায় ১২টার সময় ঘটেছে বলে জানা গেছে, যখন মন্দির চত্বরে অবস্থিত সুবিধা কেন্দ্রের কাছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে (Pollution Control Room) হঠাৎ আগুন লাগে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুনের শিখা বেড়ে যায় এবং পুরো এলাকায় ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার খবর পেয়ে মন্দির প্রশাসন অবিলম্বে ফায়ার ব্রিগেডকে সতর্ক করে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার ব্রিগেডের দল
আগুনের তীব্রতা দেখে ফায়ার ব্রিগেডের বেশ কয়েকটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে শিখা এত তীব্র ছিল যে দমকল কর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কষ্ট করতে হয়। অন্যদিকে, উজ্জয়িনীর কালেক্টর ও এসপিও ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন। মন্দির প্রশাসন দ্রুততার সাথে ১ নম্বর গেট তীর্থযাত্রীদের জন্য অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়, যাতে কোনওরকম জনহানি না হয়।
শর্ট সার্কিটকে আগুনের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে
যদিও এখনও পর্যন্ত আগুন লাগার পিছনে সঠিক কারণ সামনে আসেনি, তবে প্রাথমিক তদন্তে শর্ট সার্কিটকে এর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগের যৌথ দল পুরো ঘটনার তদন্ত করছে এবং কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটির সম্ভাবনার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
তীর্থযাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক, প্রশাসন শান্তির আবেদন জানিয়েছে
ঘটনার সময় মন্দির চত্বরে বেশিরভাগ তীর্থযাত্রী দর্শনের জন্য উপস্থিত ছিলেন, ফলে আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়লে ছুটোছুটির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে মন্দির প্রশাসন দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং তীর্থযাত্রীদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়। প্রশাসন জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে এবং গুজব থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
দর্শন ব্যবস্থার উপর অস্থায়ী প্রভাব
মন্দির প্রশাসনের মতে, ঘটনার মূল মন্দির বা গর্ভগৃহের সাথে কোন সরাসরি সম্পর্ক নেই। আগুন কেবল সুবিধা কেন্দ্রের কাছে অবস্থিত একটি প্রযুক্তিগত ইউনিট পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। তাই তীর্থযাত্রীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে ১ নম্বর গেটে এখনও চলাচল বন্ধ রয়েছে।