हिमाचल প্রদেশে ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে কুल्लूতে বন্যা পরিস্থিতি
हिमाচল প্রদেশের কুल्लू জেলায় মেঘ ফटनेর কারণে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি এখন বন্যা কবলিত, যেখানে বহু বাড়িঘর ও যানবাহন ভেসে গেছে। রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে পড়েছে এবং উদ্ধারকার্য এখনো চলছে।
हिमाচল প্রদেশ: কুल्लू জেলায় মেঘ ফटनेর ঘটনাটি ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণ হয়েছে। একটানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এখানকার নদী ওনালাগুলোর জলস্তর বিপজ্জনকভাবে বেড়ে গেছে। অনেক জায়গায় বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেখানে বাড়িঘর ও যানবাহন জলের স্রোতে ভেসে গেছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতিকে গুরুতর মনে করে উদ্ধার ও बचाव দলের সতর্ক করেছে।
জাতীয় সড়ক বন্ধ, মন্ত্রীও আটকা পড়েছেন
মেঘ ফटनेর কারণে আউট-লুহারি-সৈঞ্জ জাতীয় সড়ক সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এই সড়কটি কুल्लू জেলা সদরকে যুক্ত করে এবং এর বন্ধ হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বঞ্জামারে অনুষ্ঠিত দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরাও এই সড়কে আটকা পড়েছেন। এদের মধ্যে কৃষি ও পশুपालन মন্ত্রী প্রফেসর চন্দ্র কুমার এবং প্রযুক্তি শিক্ষা মন্ত্রী রাজেশ ধামানি রয়েছেন। রাজেশ ধামানির ‘বিশ্ব ঐতিহ্য উৎসব ২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে আসার কথা ছিল, কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে তিনি সেখানে পৌঁছাতে পারেননি।
মণিকর্ণা উপত্যকা, সৈঞ্জ ও বঞ্জামারে বন্যার প্রকোপ
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মণিকর্ণা উপত্যকা, সৈঞ্জ ও বঞ্জামার এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। সৈঞ্জের জিউয়া নালাতে বন্যার কারণে এনএইচপিসির কাঠামো ভেঙে গেছে, এবং ভিহালি গ্রামের মানুষের জীবন বিপন্ন। এই এলাকাগুলোতে घरों মধ্যে জল প্রবেশ করার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রাস্তা ভেঙে গেছে, গাড়ি ভেসে গেছে, জনজীবন বিপর্যস্ত
সৈঞ্জ বাজারে বন্যার কারণে একটি ক্যাম্পার ও একটি স্কুটার ভেসে গেছে। এছাড়াও, বহু রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করেন। সৈঞ্জ উপত্যকার নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের সতর্ক করা হয়েছে, কারণ নালা থেকে জল যেকোনো মুহূর্তে তাদের এলাকায় প্রবেশ করতে পারে।
উদ্ধারকার্য জোরদার করা হয়েছে
প্রশাসন দ্রুত উদ্ধার ও बचाव কার্যক্রম শুরু করেছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে এবং প্রয়োজনীয় সকল সম্পদ mobilised করা হয়েছে। এসডিআরএফ (State Disaster Response Force) এবং স্থানীয় পুলিশের टीमें ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ড্রোন ও অন্যান্য প্রযুক্তির সাহায্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
হুরনগড় এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি
তীর্থন উপত্যকার হুরনগড় এলাকায় মেঘ ফटनेর কারণেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখানে দুটি গাড়ি ও দুটি বাড়িঘর ভেসে গেছে। আবহাওয়া বিভাগ আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
বালধী গ্রামের সংযোগ সেতু ভেসে গেছে
মণিকর্ণা উপত্যকার বালধী গ্রামকে সংযোগকারী অস্থায়ী সেতুটি पार्वती নদীতে বন্যার কারণে ভেসে গেছে। এই সেতুটি গত বছর দুর্যোগের সময় গ্রামবাসীরা নিজেরাই তৈরি করেছিলেন এবং এটিই ছিল গ্রামটিকে মূল সড়ক থেকে যুক্ত করার একমাত্র উপায়। সেতুর ভেসে যাওয়ায় গ্রামটির সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গ্রামবাসীদের জন্য খাদ্য সরবরাহ এবং যাতায়াতের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।