কর্ণাটকের দুই বিজেপি বিধায়ককে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার

🎧 Listen in Audio
0:00

কর্ণাটকের বিজেপি দুই বিধায়ক এস.টি. সোমশেখর ও এ. শিবরাম হেব্বারকে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে। রাজ্যসভা নির্বাচনে ক্রস ভোটিং এবং অনুশাসনহীনতার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কর্ণাটক: কর্ণাটকে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) তাদের দুইজন জ্যেষ্ঠ বিধায়ককে বহিষ্কার করেছে। দলবিরোধী কার্যকলাপ এবং বারবার অনুশাসন ভঙ্গের অভিযোগে বিজেপি এস.টি. সোমশেখর ও এ. শিবরাম হেব্বারকে ছয় বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করেছে। দলের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যেখানে উভয় নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিজেপি কেন এই বড় পদক্ষেপ নিল?

বিজেপির কর্ণাটক ইউনিটের সভাপতি বি. ওয়াই. বিজয়েন্দ্র এই পদক্ষেপের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এস.টি. সোমশেখর ও এ. শিবরাম হেব্বার বারবার দলের অনুশাসন ভঙ্গ করেছেন। এ কারণেই তাদের দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উভয় নেতার বিরুদ্ধে অনুশাসনহীনতা এবং দলবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার গুরুতর অভিযোগ ছিল। বিশেষ করে, ২০১৪ সালের মার্চ মাসে রাজ্যসভা নির্বাচনের সময় সোমশেখর কংগ্রেস প্রার্থী অজয় মাকানের পক্ষে ক্রস ভোট দিয়েছিলেন এবং হেব্বার সম্পূর্ণ ভোটগ্রহণ থেকে বিরত ছিলেন, সেই থেকেই দলে তাদের বিরুদ্ধে অসন্তোষ ছিল।

দলবিরোধী কার্যকলাপের দীর্ঘ তালিকা

বিজেপির কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটিও এই নেতাদের বিরুদ্ধে অনুশাসনহীনতার অনেক ঘটনার উল্লেখ করেছে। সচিব ওম পাঠক কর্তৃক প্রকাশিত চিঠিতে বলা হয়েছে, এস.টি. সোমশেখর ও এ. শিবরাম হেব্বারকে ৬ বছরের জন্য দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর ফলে এখন তারা দলের কোনো পদে থাকতে পারবেন না এবং তাদের বিরুদ্ধে চলমান ব্যবস্থাও অব্যাহত থাকবে। প্রতিবেদন অনুসারে, উভয় বিধায়কের বিরুদ্ধে বেশ কিছু FIR দায়ের করা হয়েছে এবং তাদের তদন্ত চলছে।

দলে বেড়ে উঠছে বিদ্রোহ

বিজেপির এই পদক্ষেপের পর কর্ণাটকের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কংগ্রেস নেতা ডি.কে. শিবকুমার এই বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন যে, বিজেপিতে অনেক গুরুতর অভিযোগের মুখোমুখি নেতারা দলে নিরাপদে আছেন, কিন্তু এস.টি. সোমশেখর ও শিবরাম হেব্বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিবকুমার বলেছেন, "না, এস.টি. সোমশেখর ও শিবরাম হেব্বার বিধানসভায় কারও সাথে ধর্ষণ করেননি। কিন্তু তারপরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেক বিধায়ক বিরোধী দলনেতাকে এডসের ইনজেকশন দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, অন্যরা ইয়েদিয়ুরাপ্পাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।"

বিজেপিতে কঠোর শৃঙ্খলার বার্তা

বিজেপি এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের সংগঠনে শৃঙ্খলা ও দলীয় লাইন অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক করার বার্তা দিয়েছে। দল চায় যে, কোনও নেতা, তিনি যতই বড় হোন না কেন, অনুশাসন ভঙ্গ করলে ক্ষমা পাবেন না। তবে, এই সিদ্ধান্তের পর দলে অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন ও অসন্তোষ বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।

Leave a comment