দিল্লি সরকারের মন্ত্রী কৈলাশ গেহলোট হঠাৎ করেই মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, যার ফলে রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি ভবিষ্যতে কংগ্রেসে নাকি বিজেপিতে যোগ দেবেন?
কৈলাশ গেহলোট: দিল্লি সরকারের পরিবহন মন্ত্রী এবং নজফগড় আসনের বিধায়ক কৈলাশ গেহলোট রবিবার হঠাৎ করেই মন্ত্রী পদ এবং দলের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, যা আম আদমি পার্টি (আপ)-কে বড় ধাক্কা দিয়েছে। তার ইস্তফা দিল্লির রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করবে। এখন প্রশ্ন উঠছে, গেহলোট ভবিষ্যতে কী করবেন? তিনি কি বিজেপিতে যোগ দেবেন নাকি কংগ্রেসে? তার এই পদক্ষেপের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে দুই মাস পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বলে।
ইস্তফা নিয়ে উঠে আসা প্রশ্ন
দিল্লিতে দুই মাস পর বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, সেই সময় কৈলাশ গেহলোট এই পদক্ষেপটি গ্রহণ করেছেন। তার এই সিদ্ধান্তের আগামী নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে। গেহলোটের ভাবমূর্তি একজন শান্ত ও চিন্তাশীল নেতার, যিনি রাজনৈতিক বিষয়ে খোলাখুলি বক্তব্য দেন না। তার সকল দলের নেতাদের সাথে ভাল সম্পর্ক ছিল।
ইস্তফার পিছনে কারণ
কিছুদিন ধরে কৈলাশ গেহলোট দলের অভ্যন্তরীণ নীতি নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। সম্প্রতি, আবগারী নীতি নিয়ে প্রবর্তন অধিকার (ইডি) কর্তৃক নোটিশ পাওয়ার পর, তার উপর প্রশ্ন উঠেছিল। এমন অভিযোগও উঠেছিল যে তিনি কি মদ কেলেঙ্কারীতে জড়িত, যা নিয়ে গেহলোট বেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন। তদুপরি, গণতন্ত্র দিবসে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে বাদ দিয়ে, গেহলোটকে ছত্রসাল স্টেডিয়ামে পতাকা উত্তোলনের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল, যার ফলে দলে মতবিরোধ বেড়ে গিয়েছিল।
এখন কী করবেন কৈলাশ গেহলোট?
এখন দিল্লির রাজনীতিতে তার কেবল দুটি বিকল্প রয়েছে—বিজেপি বা কংগ্রেসে যোগদান। দিল্লিতে অন্য কোনও দলের রাজনৈতিক ভিত্তি নেই, যার ফলে এই দুটি বিকল্পই তার কাছে প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে।
