নবনিযুক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমার আজ, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, তাঁর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর, তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন, "জাতি গঠনের প্রথম পদক্ষেপ হল ভোটদান।"
নয়া দিল্লি: নবনিযুক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমার আজ, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, তাঁর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর, তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন, "জাতি গঠনের প্রথম পদক্ষেপ হল ভোটদান।" জ্ঞানেশ কুমারের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) পদ গ্রহণের পর দেওয়া এই বার্তা ভারতের গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
তিনি ভোটারদের সচেতন করে ভোটদানকে জাতীয় সেবার প্রথম পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন এবং ১৮ বছরের বেশি বয়সী সকল নাগরিককে ভোটার হয়ে ভোটদান করার আহ্বান জানান। তাঁর এই বক্তব্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার নির্বাচন কমিশনের সংকল্পকে প্রতিফলিত করে। তিনি এও আশ্বাস দেন যে নির্বাচন কমিশন সংবিধান, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ও বিধি অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাবে এবং সর্বদা ভোটারদের পাশে থাকবে।
জ্ঞানেশ কুমার গ্রহণ করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব
জ্ঞানেশ কুমার ভারতের ২৬তম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় একটি নতুন অধ্যায় যুক্ত হয়েছে। তিনি তাঁর কর্মজীবনের শুরুতেই ভোটারদের সচেতন করার বার্তা দিয়েছেন, যেখানে তিনি ভোটদানকে জাতি গঠনের প্রথম পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন এবং ১৮ বছরের বেশি বয়সী সকল নাগরিককে ভোটার হয়ে ভোটদান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তাঁর নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য হবে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করা। আগামী চার বছর ধরে এই পদে থাকাকালীন, তাঁর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে বিরোধী এবং সকল রাজনৈতিক দলের আস্থা অর্জন করা, যাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোনো ধরণের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে না পারে।
জ্ঞানেশ কুমার কে?
জ্ঞানেশ কুমার ১৯৮৮ ব্যাচের কেরালা ক্যাডারের ভারতীয় প্রশাসনিক সেবা (IAS) কর্মকর্তা। তাঁকে ভারতের ২৬তম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হওয়ার আগে, জ্ঞানেশ কুমার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, গৃহ মন্ত্রণালয়, সংসদীয় কার্য মন্ত্রণালয় এবং সমবায় মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন।
তিনি যুগ্ম সচিব থেকে সচিব পর্যায়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। কেরালা সরকারে সহকারী কালেক্টর থেকে সচিব পদ পর্যন্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কাজ করেছেন। প্রশাসনিক কাজে দক্ষতা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে।
