উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম মেটার অ্যালার্ট সিস্টেম এবং ইউপি পুলিশের তৎপরতার ফলে একজন ২৪ বছরের যুবকের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ওই যুবক ইনস্টাগ্রামে লাইভ স্ট্রিমিং করার সময় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছিল। এরপর মেটা পুলিশ সদর দপ্তরে যুবকের ভিডিও এবং তার অবস্থানের তথ্য পাঠায়, যার ফলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।
উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরে একজন ২৪ বছরের যুবক ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ওই যুবক ইনস্টাগ্রামে লাইভ প্রচার চালিয়ে এ কাজ করে। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম মেটা অবিলম্বে উত্তর প্রদেশ পুলিশকে খবর দেয় এবং পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে যুবকের প্রাণ রক্ষা করে। পুলিশ মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যে ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রামে পৌঁছে যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সংবাদ সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, ভুড়িয়া গ্রামের ২৪ বছরের ওই যুবক গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনস্টাগ্রামে লাইভ এসে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আলাপ করতে শুরু করে। এই ভিডিও দেখে মেটার সোশ্যাল মিডিয়া সেন্টার সতর্কতা অবলম্বন করে এবং অবিলম্বে ইউপি পুলিশের সদর দপ্তরে এই ঘটনার কথা জানায়।
মেটা রাত ১১:০৫ টায় ভিডিও এবং অবস্থানের সঙ্গে এই অ্যালার্ট পুলিশে পাঠায়। এরপর শাহজাহানপুর পুলিশের কাছে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই তথ্য রাত ১১:১৭ টায় পৌঁছে। খবর পেয়েই স্থানীয় কাটরা থানার একটি দল দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যে ৯ কিলোমিটার দূরে ভুড়িয়া গ্রামে পৌঁছে যায়।
এই বিষয়ে এসপি রাজেশ এস জানিয়েছেন, গুগল এই রুটের জন্য ১৬ মিনিট সময় ধারণা করেছিল কিন্তু আমাদের দল তার আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পুলিশ সেখানে যুবককে অচেতন অবস্থায় পায়। অবিলম্বে তাকে কাটরা কমিউনিটি হেলথ সেন্টার (সিএইচসি) -তে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসার পর তার প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়। চিকিৎসার পর যুবককে হাসপাতাল থেকে ছাড়া দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যুবক মা-বাবার ধমকের কারণে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল, যার ফলে সে এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশ যুবক ও তার পরিবারকে কাউন্সেলিং-এর পরামর্শ দিয়েছে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা এড়ানো যায়। এই ঘটনায় মেটার সময়মতো পুলিশে খবর দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের রিয়েল-টাইম অ্যালার্ট সিস্টেম এবং পুলিশের সতর্কতার ফলে একজন যুবকের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।