হিমানী নারওয়াল হত্যা মামলা: দিল্লিতে গ্রেফতার অভিযুক্ত সচিন

🎧 Listen in Audio
0:00

কংগ্রেস কর্মী হিমানী নারওয়াল হত্যার অভিযুক্ত সচিন ওরফে ঢিল্লুকে রবিবার রাতে দিল্লির মুন্ডকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঝজ্জরের কানোন্দা গ্রামের বাসিন্দা সচিন দুই সন্তানের পিতা এবং বহাদুরগড়ে তার একটি মোবাইল মেরামতের দোকান আছে।

বহাদুরগড়: কংগ্রেস কর্মী হিমানী নারওয়াল হত্যার অভিযুক্ত সচিন ওরফে ঢিল্লুকে পুলিশ রবিবার রাতে দিল্লির মুন্ডকা থেকে গ্রেফতার করেছে। ঝজ্জরের কানোন্দা গ্রামের বাসিন্দা সচিন দুই সন্তানের পিতা এবং বহাদুরগড়ে তার একটি মোবাইল মেরামতের দোকান আছে। তদন্তে উঠে এসেছে, হিমানী ও সচিনের পরিচয় সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়েছিল, যা পরে ব্যক্তিগত দেখা-সাক্ষাৎ পর্যন্ত গড়িয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৮ ফেব্রুয়ারি টাকাপয়সার লেনদেন নিয়ে হিমানী ও সচিনের মধ্যে তীব্র ঝগড়া হয়। এই ঝগড়া এতটাই বেড়ে যায় যে, সচিন রাগে হিমানীর হাত দুপাট্টা দিয়ে বাঁধে এবং মোবাইল চার্জারের তার দিয়ে গলা টিপে তার হত্যা করে। বাঁচার জন্য হিমানী সংগ্রাম করে এবং সচিনের উপর নখ দিয়ে আক্রমণ করে, কিন্তু সে বাঁচতে পারেনি।

মোবাইল লোকেশন গ্রেফতারের কারণ

হত্যার পর সচিন হিমানীর গয়না ও ল্যাপটপ চুরি করে এবং তার স্কুটি নিয়ে নিজের দোকানে চলে যায়। কয়েক ঘন্টা পর, সে আবার হিমানীর বাড়িতে ফিরে আসে, রক্তমাখা কাপড় বদলায় এবং প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা করে। তারপর, সে লাশটিকে একটি স্যুটকেসে ভরে অটো রিক্সা করে দিল্লি বাইপাস পর্যন্ত নিয়ে যায় এবং বাসে সাংপলা গিয়ে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়।

১ মার্চ হিমানীর লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ তার কল ডিটেইলস খতিয়ে দেখে। এই সময়, হিমানীর মোবাইল দুবার অন হয়, যা পুলিশের কাছে একটি সূত্র হিসেবে কাজ করে। সিসিটিভি ফুটেজে সচিন স্যুটকেস নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়ে। পুলিশ তার মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে এবং অবশেষে দিল্লির মুন্ডকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

পরিজনদের দাবি – ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হোক

পুলিশ তদন্তে আরও উঠে এসেছে যে, হত্যার পর সচিন হিমানীর বাড়ি থেকে চুরি করা গয়না একটি ফাইন্যান্স কোম্পানিতে দুই লক্ষ টাকায় জামানত রেখেছিল। হিমানীর পরিবার অভিযুক্তের জন্য ফাঁসির দণ্ডের দাবি জানিয়েছে। তার মা সবিতা বলেছেন যে, সচিনের টাকাপয়সার অভিযোগ মিথ্যা এবং সে হিমানীর সাথে অন্যায় করার চেষ্টা করেছিল। বিরোধিতা করার ফলে সে তার হত্যা করেছে। এই ঘটনা সারা এলাকাকে কাঁপিয়ে তুলেছে, কিন্তু হিমানীর শেষকৃত্যে কংগ্রেসের কোনো বড় নেতা উপস্থিত ছিলেন না, যা পরিজনদের মনে রোষ জাগিয়েছে।

অভিযুক্তের পটভূমি এবং পুলিশের বক্তব্য

প্রায় ১০ বছর আগে সচিন উত্তরপ্রদেশের জ্যোতি নামে একা যুবতীর সাথে প্রেম বিবাহ করেছিল। তার স্ত্রী ঘটনার দুই দিন আগেই মায়ের বাড়ি গিয়েছিল। সচিনের পরিবার বলেছে যে, তাদের সাথে তার যোগাযোগ ছিল না এবং তার কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই। বর্তমানে পুলিশ সচিনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে এবং ঘটনার গভীর তদন্ত চলছে।

Leave a comment