হরিয়ানায় ইভিএম ত্রুটির অভিযোগে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে রিট

🎧 Listen in Audio
0:00

নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে পুনরায় নির্বাচন করানোর জন্য একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। এই রিটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ত্রুটি এবং সন্দেহজনক ফলাফলের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।

হরিয়ানা: হরিয়ানার ২০টি বিধানসভা আসনে পুনরায় নির্বাচন করানোর দাবি জোরদার হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। এই রিটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ত্রুটি এবং সন্দেহজনক ফলাফলের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। রিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কিছু ক্ষেত্রে একই ভোটকেন্দ্রে ব্যবহৃত ইভিএমে বিসংগতি দেখা গেছে।

সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা রিট

প্রকৃতপক্ষে, প্রিয়া মিশ্র ও বিকাশ বনসাল আইনজীবী নরেন্দ্র মিশ্রের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট দায়ের করেছেন। রিটে বলা হয়েছে যে, নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ঘোষণা করার সময় যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করেনি।

রিটে এটাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, কিছু ইভিএম ৯৯% ব্যাটারি ক্ষমতায় কাজ করছিল, আবার কিছু ৮০% এর কম ক্ষমতায় কাজ করছিল। অন্যান্য ইভিএম ৬০-৭০% ব্যাটারি ক্ষমতায়ও কাজ করছিল। রিটকারীরা কংগ্রেস দল কর্তৃক ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে করা অভিযোগের কথাও উল্লেখ করেছেন।

রিটে কী বলা হয়েছে?

রিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাস্তবে কিছু ক্ষেত্রে একই ভোটকেন্দ্রে ব্যবহৃত ইভিএমে বিসংগতি দেখা গেছে। এই বিষয়টি যখন সামনে আসে, তখন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।

যদিও বেশিরভাগ স্থানে এ বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এবং এটাকে দুর্নীতিপূর্ণ নির্বাচনী কার্যকলাপের সাথে জড়িত করা হয়েছে। রিটে বলা হয়েছে, "কিছু ইভিএম ৯৯% ব্যাটারি ক্ষমতায় কাজ করছিল, আবার কিছু ৯৯% এর কম কিন্তু ৭০% পর্যন্ত কাজ করছিল, যা নির্বাচনের ফলাফলের দিন চার্জিং পয়েন্ট থেকে বাদ পড়া শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি।"

ইভিএম মেশিন নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্ন

রিটকারীরা ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে ফরম ১৭সি সহ তিনটি ভোটের তথ্য সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয় এবং ইভিএম ও নির্বাচনী প্রমাণপত্র সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়। রিটকারীরা বলেছেন, তারা ভারতীয় সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের অধীনে এই জনहित याचिका দায়ের করেছেন যাতে নির্বাচনী অনিয়মের কারণে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া बाধित না হয় এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং আইনের শাসন सुनिश्चित করা যায়।

 

Leave a comment