হাজারিবাগে এনটিপিসি কর্মকর্তার হত্যা: ভুল পরিচয়ের আশঙ্কা

🎧 Listen in Audio
0:00

ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে এনটিপিসির উপ মহাপরিচালক কুমার গৌরব হত্যা কাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে পুলিশ তদন্ত ত্বরান্বিত করেছে। ঝাড়খণ্ডের ডিজিপি অনুরাগ গুপ্তা এই ঘটনায় বড় বক্তব্য দিয়ে জানিয়েছেন যে, এটি ভুল পরিচয়ের ফলে ঘটা হত্যাকাণ্ড হতে পারে।

হাজারিবাগ: ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে এনটিপিসির উপ মহাপরিচালক কুমার গৌরব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ডিজিপি অনুরাগ গুপ্তা বড় বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এটি ভুল পরিচয়ের ফলে ঘটা হতে পারে। পুলিশ গুরুত্বের সাথে এই ঘটনাকে গ্রহণ করে কিছু সন্দেহভাজনকে আটক করেছে এবং তদন্ত ত্বরান্বিত করেছে।

শনিবার সকালে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা ফতেহ মোড়ের কাছে কুমার গৌরবের গাড়ি থামিয়ে তাকে গুলি করে। পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি, কোয়লা বেল্টে সক্রিয় গ্যাংয়ার নিয়েও তদন্ত চলছে। এই হত্যাকাণ্ডের ফলে ঝাড়খণ্ডের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং পুলিশের উপর অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের চাপ বেড়েছে।

হত্যার পিছনে কে? অপরাধীদের খোঁজ তীব্র

ডিজিপি জানিয়েছেন যে, পুলিশ সকল সম্ভাব্য দিক তদন্ত করছে। কিছু সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়াও, ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছিল - মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে

শনিবার সকালে 42 বছর বয়সী কুমার গৌরব হাজারিবাগ শহরের তার সরকারি বাসস্থান থেকে কোয়লা খনি অভিমুখে যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই কটকমদাগ থানা এলাকার ফতেহ মোড়ের কাছে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা তার গাড়ি থামিয়ে নিকট থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পুলিশের মতে, অপরাধীরা এই হত্যাকাণ্ডটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে।

কী কোয়লা মাফিয়ার টার্গেট ছিলেন কুমার গৌরব?

ডিজিপি অনুরাগ গুপ্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ঝাড়খণ্ডের কোয়লা বেল্টে নিয়মিত গ্যাংয়ার চলছে এবং অপরাধীরা সক্রিয়। তবে, এখনও স্পষ্ট নয় যে কুমার গৌরবের হত্যা কোনও দলের ইশারায় হয়েছে নাকি কোনও ভুল বোঝাবুঝির কারণে তিনি অপরাধীদের টার্গেটে পড়েছেন। তদন্তকারী দল এই দিকটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছে।

সুরক্ষা সংস্থা সতর্ক, পুলিশ নজরদারি বাড়িয়েছে

ডিজিপি হাজারিবাগ থেকে বড়কাগাঁও, পকড়ি বারওয়াদিহ, কেরেডারি এবং চটি বারিয়াটু পর্যন্ত কোয়লা পরিবহন পথে সুরক্ষা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, এলাকায় কোয়লা চোরাচালান এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপ দমনের জন্য পুলিশ বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, তবে পুলিশ দাবি করেছে যে শীঘ্রই অপরাধীদের ধরা হবে। ডিজিপি জানিয়েছেন যে, রাজ্য পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের গভীর তদন্ত করছে এবং ষড়যন্ত্রের প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বড় প্রশ্ন - ব্যক্তিগত বিরোধ, গ্যাংয়ার না ভুল পরিচয়?

কুমার গৌরবের হত্যার ঘটনায় এখনও প্রশ্ন রয়েছে যে, তিনি কি ব্যক্তিগত শত্রুতার শিকার হয়েছেন, কোনও গ্যাংয়ারের অংশ হয়েছেন নাকি অপরাধীরা ভুল করে তাকে টার্গেট করেছে? পুলিশ এই সকল দিক তীব্রভাবে তদন্ত করছে। এই হত্যাকাণ্ড ঝাড়খণ্ডের সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং কোয়লা খনিতে বৃদ্ধি পেতে থাকা অপরাধ নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলে ধরেছে। এখন দেখার বিষয়, পুলিশ কত দ্রুত এই রহস্য উন্মোচন করতে পারে এবং অপরাধীদের কারাগারে পাঠাতে পারে।

Leave a comment