গুণা জেলার বামোরিতে একজন শিক্ষক, মিলন সিং সহরিয়া, স্কুলে মদ্যপান করতে গ্রেপ্তার হন। জনশিক্ষক সঞ্জু রঘুবংশী তাঁকে निरीক্ষণের সময় মত্ত অবস্থায় পান। এ সময় শিক্ষক স্টাফ রেজিস্টার ছুড়ে ফেলে এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। অন্যান্য শিক্ষকরাও নিশ্চিত করেছেন যে তিনি প্রায়শই মদ্যপান করে স্কুলে আসেন।
মধ্যপ্রদেশ: সম্প্রতি গুণা জেলার বামোরি অঞ্চলে একটি সরকারি স্কুলে ঘটে যাওয়া লজ্জাজনক ঘটনা শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ধরেছে। এই ঘটনাটি ২৬ এপ্রিল ২০২৫-এ প্রকাশ্যে আসে, যখন জনশিক্ষক সঞ্জু রঘুবংশী বামোরির মুরাদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। এই পরিদর্শনের সময় একজন শিক্ষক, মিলন সিং সহরিয়া, ক্লাসে মদ্যপান করতে গ্রেপ্তার হন।
এই ঘটনাটি সমগ্র এলাকায় শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। শিক্ষকের এই আচরণ কেবল তাঁর পেশাদার আচরণের লঙ্ঘন নয়, বরং এটি শিক্ষাব্যবস্থার উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সরকারি স্কুলে শিক্ষকদের দায়িত্বপূর্ণ আচরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তাদের ছাত্রছাত্রীদের উপর গভীর প্রভাব পড়ে। এই ঘটনাটি আবারও শিক্ষকদের দায়িত্ব এবং আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ধরেছে।
মদ্যপান করতে গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক
যখন জনশিক্ষক সঞ্জু রঘুবংশী মুরাদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে যান, তখন তিনি শিক্ষক মিলন সিং সহরিয়াকে ক্লাসে মদ্যপান করতে দেখেন। শিক্ষকের টেবিলে মদ্যের বোতল এবং সিগারেটের প্যাকেট ছিল। যখন সঞ্জু রঘুবংশী তাঁর কাছে স্টাফ রেজিস্টার চান, তখন মিলন সিং তা মাটিতে ছুড়ে ফেলেন এবং বলেন, "তুলে নিয়ে নাও এটা"। এরপর মত্ত শিক্ষক জনশিক্ষককে গালিগালাজ করেন।
এই ঘটনাটি দেখায় যে কিছু শিক্ষক তাদের দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে, কেবলমাত্র নিয়ম লঙ্ঘন করেই নয়, বরং মদ্যপানের মতো নেশায় আসক্ত হয়ে তাদের সেবায়ই অবহেলা করে। এ ধরনের আচরণ শিশুদের কাছে ভুল বার্তা দেয় এবং তাদের মানসিক বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে।
আগেও মদ্যপান করে আসতেন স্কুলে
স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরাও এই বিষয়ে উন্মোচন করেছেন যে মিলন সিং প্রায়শই মদ্যপান করে স্কুলে আসতেন। একজন শিক্ষক জানিয়েছেন যে পরিদর্শনের একদিন আগেও স্কুল থেকে খালি মদ্যের বোতল সরানো হয়েছিল। এই পরিস্থিতি দেখায় যে শিক্ষকের মদ্যপান একটি স্বাভাবিক অভ্যাস হয়ে উঠেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
শিক্ষকের মত্ত অবস্থায় ক্লাসে থাকা কেবল তার নিজের জন্যই বিপজ্জনক নয়, বরং এটি শিশুদের পড়াশোনা এবং তাদের মানসিক বিকাশেও প্রভাব ফেলে। একজন শিক্ষকের আদর্শ ছাত্রছাত্রীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং যদি শিক্ষক নিজেই মদ্যপানের মতো অভ্যাসে লিপ্ত হন, তবে এটি শিশুদের উপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলতে পারে।
জনশিক্ষক ভিডিও করে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছেন
এই ঘটনার পর জনশিক্ষক সঞ্জু রঘুবংশী ঘটনার ভিডিও করে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছেন। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে শিক্ষক মিলন সিং মদ্যপান করছেন এবং জনশিক্ষকের সাথে অসভ্য আচরণ করছেন। এই ভিডিওটি দেখার পর কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এবং স্কুলে শিক্ষকদের পেশাদার আচরণ বজায় থাকে।
মদ্যপানকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রয়োজন
এই ঘটনাটি স্পষ্ট করে যে কিছু শিক্ষকের নেশার অভ্যাসে লিপ্ত হওয়া কেবল তাদের ব্যক্তিগত জীবনকেই প্রভাবিত করে না, বরং এটি শিক্ষাব্যবস্থাকেও দুর্বল করে তোলে। শিক্ষাব্যবস্থার উদ্দেশ্য কেবল জ্ঞান প্রদান নয়, বরং সঠিক আচরণ এবং ইতিবাচক অভ্যাসের প্রচার করা। যদি শিক্ষক নিজেই মদ্যপানের মতো নেশায় আসক্ত হন, তবে তারা কিভাবে ছাত্রছাত্রীদের ভালো চরিত্র এবং অভ্যাস শেখাতে পারেন?
তদুপরি, এ ধরনের ঘটনার ফলে শিক্ষকদের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের আস্থা কমে যায়। শিক্ষাক্ষেত্রে যারা দায়িত্বশীল, তাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে এ ধরনের অনুশাসনহীন আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের প্রয়োজন
এই ঘটনাটি শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তাও উন্মোচন করে। সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে, যাতে শিশুরা উন্নতমানের শিক্ষা পায়। কিন্তু যদি শিক্ষকদের আচরণ এবং ব্যবহারই সঠিক না হয়, তবে এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। এ ধরনের শিক্ষকদের শাস্তি দেওয়া উচিত যারা শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঝুঁকি নেয় এবং তাদের আচরণের মাধ্যমে সমাজে ভুল বার্তা ছড়ায়।